পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাতিত্য সমস্ত। ృ4 (t এই তিন সেনে মিলে জাতের সর্ব্বনাশ করেছে। যদি পাকস্থলী কেটে বের ক’রে রাসায়নিক বিশ্লেষণ ( chemical analysis ) করেন, তবে বুঝা যাবে কার কতটুকু জাতি আছে। তবে কেন আমরা জাত, জাত: ক’রে মারা যাই ? আমি এখন যোগী, মাহিষ্য, ব্রাত্যক্ষত্রিয় প্রভৃতি সমাজের মুখপত্রগুলি যতদূর সম্ভব পড়বার চেষ্টা করি। যেখানে দেখি—সেইখানে আর্ত্তনাদ। তারা প্রকাশ্বে বলেন না কে তাদের প্রপীড়িত করছেন, কিন্তু তারা ভাবেন তারা অত্যাচারিত। সেদিন যোগীসখায়’ লেখা দেখলাম— “আমরাও কালের কুটিলাবর্ত্তে পড়িয়া অধঃপতিত 'ও লাঞ্ছিত হইয়৷ আছি।" সকল পত্রিকাতেই এক কথা। কে করছে—তারা কারে । নাম করেন না। এ বড় দুঃখের কথা । তারা নিজেরা নিজেদের হীন অধঃপতিত মুনেই বা করেন কেন, আর সত্যই কেউ অত্যাচার করছে বুঝে তা সহাই বা করেন কৈন ; কাল এক জায়গায় পেলাম— লেখক লিখছেন—“তথাকথিত উচ্চজাতির অবস্থা দেখি—তাহীদের নিকট যোগী প্রভৃতি জাতি অনাচরণীয়। কিন্তু পশ্চিমা-কুর্ম্মী পরিচয় দিলেই তার জল আচরণীয় ।” আমরা কি পশ্চিম দেশে C. I. D. পাঠিয়ে তার জাতের খবর নিই! আবার কলিকাতায় ঝি নামক এক জাতীয় জীবের জলওঁ চলে। যারা চুংমার্গ অবলম্বন করে চলেন তারা কলিকাতায় গিয়ে অনেক সময়ে মেসে উঠেন । তারা কি অনুসন্ধান করে দেখেন প্রাচক ব্রাহ্মণ প্রকৃত পক্ষে কি জাঁতি ? প্রিন্সিপাল গিরিশচন্দ্র বস্থ একদিন তার ঝির সঙ্গে আলাপ করছিলেন। ঝি বললে, “বাবু, লোক দেখলেই ধর্ম্ম গেল—না দেখলে আর কিছু নয়। ছোয়াছুয়িটা কেবল লোক দেখাদেখি।” এই ঝি হিন্দুসমাজের প্রচলিত ধর্ম্মের সার বুঝেছে।