পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So/o বিভাগে উত্তীর্ণ হইয়া প্রথম স্থান অধিকার করিত তাহারা ভ্রমে কোন দিনও মৌলিক গবেষণার কথা মনে করে নাই। প্রেসিডেন্সি কলেজে প্রবেশ করিয়া তাহার প্রধান চেষ্টা হইল ছাত্রগণের মনে বাস্তবিক বিজ্ঞানালোচনার জন্য একটা আকাজার সৃষ্টি কুরা। প্রথম হইতে ছাত্রগণকে বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট করিবার জন্ত তিনি প্রায়ই প্রথম ও দ্বিতীয় বার্ষিক শ্রেণীতে অধ্যাপনা করিতেন। ‘কলেজে নব প্রবিষ্ট ছাত্রগণের মনে রসায়নশাস্ত্র শিক্ষার জন্য আগ্রহ সৃষ্টি করিবার উদ্দেশ্যেই তিনি নিম্নতম শ্রেণীতে ও ধ্যাপনা করিতেন । তিনি রাসায়নিক তত্ত্ব বিশ্লেষণে অথবা বিভিন্ন মতবাদের আলোচনায় সময় ক্ষেপ না করি কিরূপে রসায়নের সেবায় আত্মনিয়ােগ করা যায় তাহার দৃষ্টান্ত ছাত্রগণের সম্মুখে উপস্থাপিত করিতেন ; বিদ্যার জন্য বিদ্যাচর্চা, সত্যাকুসন্ধান, নূতন তথ্যের আবিষ্কার, রসায়নশাস্থের পরিপুষ্টর জন্য রসায়নশাস্ত্র অধ্যয়ন প্রভৃতি খাটি সত্যগুলি ছাত্রগণের মনে প্রবিষ্ট করিয়া দিতেন ; উচ্চ শ্রেণীর ছাত্রগণের সম্মুখে তাহার নিজের আবিস্ক্রিয়ার বিবরণ সবিস্তারে বর্ণনা করিতেন ; কেবলমাত্র পরীক্ষায় পাশের জন্ত সাহায্য করিতেন না। মধ্যে মধ্যে কৌতুকজনক সন্দর্ভের অবতারণা, সামাজিক ব্যাধির আলোচনা প্রভৃতি দ্বারা ছাত্র শ্রণের মনে পৌরুষের আদর্শ জাগাইয়া উহা লাভ করিষ্কার পন্থা নির্দেশ করিয়া দিতেন। নিম্নশ্রেণীতে প্রতিকর রাসায়নিক পরীক্ষণ উপস্থাপিত করিয়া ছাত্রগণকে রসায়নবিজ্ঞানের গুপ্ত রহস্যের সহিত পরিচিত ও উহা উদঘাটনের জন্য উৎসাহিত করিতেন। # * \ এই সময়ে এফ এ ও বি,এ পরীক্ষায় রসায়নশাস্ত্র পঠিত হইত বটে, কিন্তু কাহাকেও হাতে-কলমে কোন কাজ করিতে হইত না ; এমন কি, এম, এ পরীক্ষার জন্যও হাতে কাঙ্গ সামান্ত মাত্র আবশ্বক