পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بنb মিথ্যান্ত্র সহুিভ আপো= ওভ শাত্তি ভ্রলজ্জা ইংরাজী ১৮৮৯ সালে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে আমি একটী বক্তৃতা দিয়াছিলাম। তাহার সার কথা এই ছিল যে, আমরা বাঙ্গালী—আমাদের জীবনকে প্রধানতঃ দুই ভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে ; (১) পোষাকী জীবন ও (২) আটপৌরে জীবন । যখন আমরা টাউন হলে ও বড় বড় সভায় বজ্রগম্ভীর স্বরে বক্তৃতা করি, বলি– সমাজ-সংস্কার করিব, অর্থনৈতিক সমস্যা দূর করিব, বাল্য-বিবাহ বন্ধ করিব, বিধবা-বিবাহ প্রচার করিব তখন আমরা ‘পোষাকী জীবনের পরিচয় দিই ; বাড়ীর ভিতর প্রবেশের সময় পোষাক ছাড়িয়া আসি– কথায় ও কার্ষ্যে বিপরীত আচরণ করি ; “আটপৌরে জীবনের মধ্যে পড়িয়া ‘পোষাকী জীবনের কথা ভুলিয়া যাই । এই বক্তৃতার পর এক শতাব্দীর এক তৃতীয়াংশেরও বেশী সময় অতিবাহিত হইয়াছে । দেখা যাউক, এই ৩৫।৩৬ বৎসরের মধ্যে আমরা কোন বিষয়ে কতদূর সংস্কার সাধন বা উন্নতি লাভ করিতে পারিয়াছি। র্যাহার শিবনাথ শাস্ত্রী প্রণীত রামতনু লাহিড়ীর জীবন-বৃত্তান্ত, রাজনারায়ণ বস্থর আত্মচরিত, যোগীন্দ্র বসু কৃত মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনচরিত প্রভৃতি পড়িয়াছেন তাহারা জানেন হিন্দু কলেজের বাল্যাবস্থায়ু, ডি রোজীও প্রভৃতি অধ্যাপকগণের সংস্পর্শে আসিয়া ও তাহার শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হইয়। তখনকার ছাত্রগণ কি রকম মত্ত। হইয়াছিল। পরলোকগত রেভারেও কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি তখন হিন্দু সমাজের ভিতর বসিয়া, শুধু গোমাংস ভক্ষণ করাই যে