পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৮ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী AASAASAA AA ASASJJAAASASASS মাষ্টার হয়েছেন, আর ৭৬৫ জন ডাক্তার হয়ে বাহির হয়েছেন । এই তালিক দৃষ্টে এর ভবিষ্যৎ জীবনে কি কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তা অতি সহজেই অনুমেয়। মান্দ্রাজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধিধারীগণ জীবনের একটান বাধা রাস্তা ছেড়ে জ্ঞানজগতে নব নব পথের সন্ধানে বের হ’ন নি। আর মান্দ্রাজী গ্রাজুয়েট সম্বন্ধে যা সত্য, বাঙালী গ্রাজুয়েট সম্বন্ধে সেই কথাই সর্ব্বোতোভাবে প্রযুজ্য । বাঙ্গল দেশেও ঐ— একই দশা-কেরাণী, মাষ্টার, ডাক্তার আর উকীল । আর সেই গলাধঃকরণ, উদিগরণ, পরীক্ষাপাশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপ, তারপর মা সরস্বতীর সঙ্গে সেলাম আলেকম। মুন্সেফ, ডেপুটী, জজ,—তা মান্দ্রাজী গ্রাজুয়েট বাঙালীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হ’টে গিয়েছেন, কিন্তু সবাই বাধা ওই চাকরীর ঘানীতে আর সবার অন্তরের কথা হচ্ছে— “ম আমায় মুরাবি কত—কলুর চোখ-ঢাক বলদের মত।” আবার এই গ্রাজুয়েট উৎপন্ন করুবার শক্তি মান্দ্রাজের চেয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরই বেশী। এই ব্যাপারে কলকাতা সবার অগ্রণী—কিন্তু হেসে না, এ-সব ঘরের কথা বাইরে না যায়। অসহযোগ, সহযোগ স্বীকার করি না ; এবার ২০,০০০ ছেলে ম্যাটিকুলেশন পরীক্ষা দেবে আর শতকরা অন্ততঃ ৮০ জন পাশ হবে । কিন্তু একজন উপাধিধারী কি প্রকার কুপমণ্ডক তা চিন্তা করলে মন বিষাদিত হয়। বর্তমান প্রথানুসারে একজন এম-এসসি কিম্বা এম-এর ভূগোলের কোন জ্ঞান না থাকলেও চলতে পারে। ইতিহাস পাঠও ইচ্ছাধীন। আব্রাহাম লিঙ্কলন, ফ্রাঙ্কলিন প্রভৃতির নাম শোনেন নি এমন গ্রাজুয়েটও অনেক আছেন। ভূগোল চাই ন, ইতিহাস চাই না, দেশের কথা চাই না, পৃথিবীর কথা চাই নী,—শুধু পাশ করে যাও—ম্যাটিক, আই-এ, বি-এ, ফাষ্টক্লাস,