পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০২ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী পারলেন না । অধ্যাপক যদুনাথ সরকার দেশের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক । আপন রোজ গারের প্রধান অংশ পুরাতন পারসী পথি ক্রয় করতে ব্যয় করেছেন, পাটনা খোদাবক্স লাইব্রেরীতে বৎসরের পর বংসর ধ’রে নিবিষ্টভাবে অধ্যয়ন করেছেন । তাই মোগলযুগের ইতিহাস সম্বন্ধে তিনি আজ Authority বা প্রামাণ্য পণ্ডিত । র্তার উপর আর কেউ কথা বলতে পারেন না, এদেশেও নয়, যুরোপেও নয় । কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের . ডিগ্রীই এর পাণ্ডিত্যের কারণ নয়—এই কৃতিত্বের পশ্চাতে রয়েছে তার জীবনের সাধন । কি কুক্ষণেই শিক্ষিত বাঙালীর চাকরীর দিকে ঝোক পড়েছিল। সেই পুরাতন হিন্দুকলেজের ছাত্র হ’তে আরম্ভ ক’রে সকলেই আজ চাকরীর উমেদার। হিন্দু কলেজের ছেলেরা যার মাইকেল-রাজনারায়ণের সমপাঠী—তারা গ্রাজুয়েট হ’লেই প্রথম লর্ড হাডিঞ্জের গবর্ণমেণ্ট তাদের ডেকে বড় বড় চাকুর দিতেন । এই সময় থেকে মতিগতি যে চাকরীর দিকে গেল সে আর ফিরলে না। বাঙলার ধনে ইংরেজ-মাড়োয়ারীর সিন্ধুক বোঝাই হ’ল, আর বাঙলার গোপালের শাস্ত শিষ্টভাবে ডিগ্রীলাভের সাধন করতে লাগলেন। সাধনা—ডিগ্রী, তাই সিদ্ধি-চাকরী ! مs এইরূপে আদর্শ থাটো হয়ে গেল । তাই . গভীর জ্ঞানসাধনা দেশে প্রতিষ্ঠিত হ’ল না। ভাসা-ভাসা জ্ঞানেই বাঙালী যুবক সন্তুষ্ট থাকতে শিখলেন। মল্লিনাথ, বল্লভ, তারাকুমার, সারদারঞ্জন—এইদব টীকার সাহায্যে এক সর্গ ভাট, বা রঘুবংশ পড়েই সংস্কৃত ভাষায়ু পণ্ডিত হলেন, কেউ বা আধ সর্গ প্যারাডাইস-লষ্টের নোট মুখস্থ করে ইংরেজি সাহিত্য দখল করে বসলেন । কিন্তু লাইব্রেরী থেকে “ একখানা বাহিরের বই নিয়ে কেউ পড়ে দেখলেন ন—যেহেতু