পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:్ఫo ৰঙ্গীল্ড লুবক-সম্প্রদণজ্জেৰ ভবিষ্য= জীবিকা-অৰ্জ্জন।* ( সমস্যা ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগী ও উপাধিধারীর সংখ্যা দেখিয়া আমরা সময়ে সময়ে ভয় পাই। অবত বাঙ্গালী দেশেই পাশ্চাত্য শিক্ষার উন্নতি বহুল পরিমাণ হইয়াছে। কিন্তু আট কোটি জনসংখ্যার তুলনায় শিক্ষিত লোকের সংখ্যা মুষ্টিমেয়, এমন কি হিসাবে নগণ্য বলা যায়। কিন্তু বাঙ্গালী জাতি বিদ্যা শিক্ষার জন্য যে প্রকার আগ্রহ প্রকাশ করিতেছে তাহাতে বোধ হয় ক্রমশঃই শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়িতে থাকিবে। ইংলণ্ড, আমেরিকা, জার্ম্মেণী, জাপান প্রভৃতি দেশে আপামর সাধারণ মধ্যে যে প্রকার শিক্ষা বিস্তার হইয়াছে ও হইতেছে সে তুলনায় আমরা কোথায় পড়িয়া আছি তাহার স্থিরতাই হয় না । কিন্তু আমাদের দেশে ইতিমধ্যে এ প্রকার হাহাকার পড়িয়াছে কেন ? প্রকৃত পক্ষে দেখিতে গেলে আমাদের বিদ্যাশিক্ষার অন্তরালে শিক্ষালাভ ব্যতীত আর একুট গৃঢ় উদেশ্ব প্রচ্ছন্নভাবে কাজ করিতেছে দেখিতে পাওয়া যায়। ইংরাজ রাজত্বের প্রারম্ভ হইতেই, এমন কি যখন নবাবী আমলে পাশী স্বাজভাষা বলিয় পরিগণিত হইত তখন হইতেই কেবল চাকুরী করা বা ওকালতি পেশা অবলম্বন করাই বাঙ্গালীর বিদ্যাশিক্ষার উদ্দেশু। হইয়া রহিয়াছে। এ দেশে ইংরাজী শিক্ষার একমাত্র উদ্বেগু এই ছিল যে সহজে চাকরী জুটাইব । মহাত্মা রাজনারায়ণ বস্থর “সেকাল আর

  • ১৩১৭ সালের কার্ত্তিক মাসের "মানসী" হইতে পুনমুদ্রিত।