পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१० আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী উপ্তম স্কুল প্রভৃতি ভাল বিষয়ের দিকে ব্যয়িত না, হইয়া, দলাদলি ও নিরর্থক আমোদ প্রমোদেই ব্যয়িত হয় । স্কুলের প্রতি কাহারও যথেষ্ট সহানুভূতি নাই । ইহাও স্কুলের দুর্দশার একূট অন্যতম কারণ । যে সকল কৃতী সস্তান, পল্লীগ্রামে জন্মগ্রহণ করিয়া শিক্ষালাভ করিয়া উত্তরকালে যশস্বী ও ধনী হইয়াছেন র্তাহাদের ছোট গ্রামের কথা ভুলিয়া গেলে চলিবে না। এ বিষয়ে তাহাদের সময় ও মনের উপর গ্রামের স্কুলের যথেষ্ট দাবী আছে । নিজ নিজ গ্রামের স্কুলের উন্নতির জন্য যদি তাহারা ভাবেন, তাহা হইলে সত্য সত্যই আমাদের কাজ যথেষ্ট সহজসাধ্য হইয়৷ উঠিবে । * সুখের কথ। এই যে, মনে হয়, যেন আজকাল একটু হাওয়া বদলাইয়াছে । শিক্ষিত সম্প্রদায় জনসাধারণের যথার্থ হিতসাধনের জন্য ভাবিতে আরম্ভ করিয়াছেন, দানবীর “পালিত” ও মনস্বী “ঘোষের” কথা আজকাল কে না জানে ? তাহদের দৃষ্টান্ত আমাদের জলন্ত আদর্শ স্বরূপ হওয়া উচিত । পূর্ব্বে আমাদের দেশের ছেলেদের প্রথমে পাঠশালে পাঠান হইত, উদ্বেগু এই যে তাহার। পড়িতে লিখিতে এবং অঙ্ক *fizz (strātīts ātētce the three R’s RTP, Neffs, reading, writing and arithmetic) for wrazo sea of stro পড়া শেষ করিয়া পৈতৃক পেশা আরম্ভ করিত। এখন জনসাধারণের মতে কিঞ্চিৎ পরিবর্তন লক্ষিত হইতেছে। এখন পিতামাত। ইচ্ছা করেন যে তাহার ছেলে বেশী লেখাপড়া শিখুক। কারণ বেশী লেখাপড়া শিখিলে বেশী অর্থোপার্জন করিতে সমর্থ হইবে এবং সুখে স্বচ্ছন্দে জীবিকা নিৰ্বাহ করিতে পারিবে । এই জন্যই