শিক্ষাবিষয়ক কয়েকট কথা ૨ (t (t م_S سہی، امیہ معینہدامبیٹ রাজার নাম ও তারিখ নহে—দেশের সভ্যতা ও সামাজিক অবস্থার ধারারাহিক বিবরণই প্রকৃত ইতিহাস নামের যোগ্য । এইরূপ ইতিহাস পঠে হুকুমারমতি বালক বালিকাগণের মনে স্বদেশ প্রেমের বীজ বপন হয়। তাহারা জানিতে পারে কত বড় উচ্চ অঙ্গের আর্য্য সভ্যতার তাহারা উত্তরাধিকারী । আর আমাদের মত ম্যালেরিয়৷ পীড়িত দেশের পক্ষে স্বাস্থ্যরক্ষা সম্বন্ধীয় জ্ঞান যে কত প্রয়োজনীয় তাহা কি আর বুঝাইতে হইবে ? যদি আমাদের দেশের লোক ম্যালেরিয়ার কারণ হৃদয়ঙ্গম করিতে পারে তাই। হইলে হয়তঃ তুহারা কোমর বাধিয়া ডোবা ও জঙ্গল পরিষ্কার করিয়া গ্রামগুলিকে ম্যালেরিয়া রাক্ষসীর করাল কবল হইতে মুক্ত করিতে পারে। আমি জানি পল্লীগ্রামের অনেক লোকের যথেষ্ট অবকাশ আছে । যদি তাহারা অজ্ঞানান্ধকারে নিমজ্জিত না থাকিত তাহ হইলে নিশ্চয়ই তাহারা নিজের হাতে কুড়াল ধরিয়া বাড়ীর চারি পাশের জঙ্গল সাফ করিয়া ফেলিত, নিজের হাতে কোদাল ধরিয়া ডোবার পঙ্কোদ্ধার করিত। 彰 অনেক সময় দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধির ছাপ অজ্ঞতা ঢাক্লিবার আবরণ মাত্র। ফলত: নিজের চেষ্টায় যেটুকু শেখা যায় সেইটুকুই আমাদের কাজে আসে। পাঠ্য পুস্তক কণ্ঠস্থ করিয়া “কেতাবী” হওয়া যায় বটে কিন্তু প্রকৃত মানুষ হওয়া যায় না। আমাদের কেশবচন্দ্র সেন, প্রতাপচন্দ্র মজুমদার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধার বড় একটা ধারেন নাই। কিন্তু তাই বলিয়া কি তাহাদিগন্ধে আমরা শিক্ষিত সম্প্রদায় হইতে বাদ দিব ? আল্ফিরি জ্যামিতির প্রথম ভাগের ৫ম প্রতিজ্ঞা অনেক চেষ্টা করিয়াও বুঝিতে পারেন নাই, লর্ড বাইরনেরও জ্যামিতি দেখিলে আতঙ্ক উপস্থিত হইত। স্তর ওয়ান্টার স্কট সম্বন্ধে তার এক শিক্ষক বলিয়াছিলেন—“Dunce he