পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬২ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী স্থানে যে মনীষীগণ জন্মগ্রহণ করেছেন তাদের বাণী,—সকলই পুস্তকের মধ্যে । তারা যা দিয়ে গেছেন তা অমূল্য সামগ্রী। আমরা সকলেই উত্তরাধিকারসূত্রে তার অধিকারী । যিনি ধনী তিনি স্ত্রীপরিবারকে মুখে রাখেন, তার ব্যক্তিগত রোজগার ছেলে, নাতি, বড়জোর আত্মীয়স্বজনে খায়। তিনি গহনা গড়ান, কোম্পানীর কাগজ করেন, জমীদারী কেনেন, আর পাট কবুলত লেখেন । তার জিনিষ ঘরের বাইরে যায় না । কিন্তু ভাব ও চিন্তাজগতের কথা স্বতন্ত্র। প্রতিভাশালী ব্যক্তি ভাব-সমুদ্র মন্থন ক’রে যে রত্ব আহরণ করেন তাতে সকলের সমান অধিকার। ইংলও, আমেরিকা, জার্ম্মানী প্রভৃতি দেশের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলি সকলের সাধারণ সম্পত্তি। তাই গ্রন্থকার ও বৈজ্ঞানিকগণ মহামান্ত, জগতকে তারা মহাঋণপাশে আবদ্ধ করে রেখে যান । * এদেশে লাইব্রেরীর উন্মেষমাত্র হচ্ছে! আমাদের মুস্কিল এই যে পাঠ্যপুস্তক ছাড়া আর কিছু বড় কেউ পড়তে চায় না। তাই বলি, আমাদের কপাল পুড়ে গেছে। ইংরেজী শিক্ষার প্রবর্তনের সূচনা থেকে ছাত্রগণের একমাত্র চিস্ত হ’য়ে উঠেছে—কি ক’রে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উপাধি নেব । তারপর উকীল, ডাক্তার, মাষ্টর, কেরানী,— এ ছাড়িয়ে যাবার আর যোগ্যতা নেই ; কেবল দাসত্ব আর গতানুগতিকে গা ঢালা। স্বাধীন জীবিকা বলে যে একটা কথা আছে শিক্ষিতদের সে ধারণা নেই। পোষ্ট আফিসের ছাপের মত তার ইউনিভারসিটির ছাপটাকেই শার বুঝেচেন । যা হোক এখন সুবাতাস বয়েছে, সময় এসেছে। তাই ধীরে ধীরে পাঠাগারের আদর বাড়ছে। আমেরিকায় প্রায় ৪৮টা ষ্টেটু আছে। প্রত্যেক ষ্টেটে একটা বা কোনটিতে দুটি ক’রে বিশ্ববিদ্যালয়, তা ছাড়া আবার প্রাইভেট