পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠাগার ও প্রকৃত শিক্ষা ఇఅరి ইউনিভারসিটিও আছে। জাপানেও তাই,- শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক । জ্ঞানের মহিমা হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছে ব’লেই তারা নিজের দেশে দরিদ্র জনসাধারণের হিতার্থে জ্ঞানের পথ উন্মুক্ত ক’রে দিচ্ছে। বাতাস, জল যেমন বিনা মাশুলে মেলে, ঐ সব দেশে তেমনি সংপুস্তকরাশিও দরিদ্রের অনায়াসলভ্য সম্পত্তি হচ্ছে । সকলেই তা বিনী মাশুলে পুচ্ছে, তার জন্যে ব্যয় করতে হচ্ছে না। সেখানে ধনীরা বলেন-দরিত্রের গৃহে শিক্ষার পথ পরিষ্কারের স্বচনামাত্র এখানে হয়েছে ; লাইব্রেরী এই স্বচনার প্রধান লক্ষণ। ঐ সব দেশে জ্ঞান পিপাসা অত্যন্ত বলবতী । কিন্তু আমাদের জ্ঞানপিপাসা এখনও হয় নি। পরীক্ষা পাশই আমাদের বরাবর সন্ধান ছিল। তাই দেখতে পাওয়া যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাষ্ট ক্লাস (First class) এম-এ পাশ করেও কেউ রিসাচের (Research ) দিকে ঘেসে না। কারণ তা’তে বিপুল উদ্যম ও ধৈর্য্য চাই, দিনের পর দিন একটানা খাটুনি চাই । কিন্তু সে উৎসাহ কোথায় ? তাই বলি প্রায় কোনো গভীর চিন্তাপ্রস্থত ফল হয় নি এই লেখা পড়ায় ; এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষায়, পৃথিবীর সামনে দাখিল করা যায় এমন কিছু অল্পই আছে । আপনার কার্ণেগীর নাম শুনেচেন । তিনি স্কট্‌লণ্ডের লোক । ছেলেবেলায় খবরের কাগজ বিলি করতেন। তারপর নিজের উদ্যমের বলে আমেরিকায় পিট্সবার্গে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ লোহার কারখানার মালিক হয়েছিলেন। ৯০ কোটি টাকা দিয়ে একজন নয়—একদল লোক মিলে তার কারখানা কিনলে। তিনি টাকা নিয়ে স্কটুলণ্ডে ফিরে এলেন । র্তার আয় বছরে ৪ কোটি টাকা হবে, অর্থাৎ সমগ্র বাংলা দেশ থেকে গবর্ণমেণ্ট ভূমির রাজস্ব হিসাবে যত টাকা পান প্রায় তাই । দেশে ফিরে এসে তিনি গ্ন্যাসগো, ডওঁী প্রভৃতি বড় বড় সহরে