পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৪ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী । Workingmen’s Institute setts esteststrwg gitaj z ; Tg বিদ্যামন্দির ও গ্রন্থশালা খুলে দিলেন । সমস্ত দিন কলকারখানায় খেটে সন্ধ্যার পর তারা এইসব পাঠাগারে নানারকমের বই, খবরের কাগজ প্রভৃতি পাঠ করে। সেখানে তার চা, কাফি খায়, —মদ নয় ; ইংলণ্ড ও আমেরিকায় মদের বিষময় ফল ফলে । শ্রমজীবীদের পাঠাগারের জন্যে কার্ণেগী অনেক বড় সহরে সাড়ে সাত লক্ষ ক’রে টাকা দিয়েছেন। ইংলণ্ড, আমেরিকা, জাপান প্রভৃতি দেশে এ রকম পাঠাগার স্থাপিত হ’তে আরম্ভ হয়েছে। সে সব দেশে মুটে, মজুর, গাড়োয়ান কাগজ পড়ছে, রাজনীতি আলোচনা করছে। যারা মাটীর নীচে খনিতে কাজ করে তারাও কাগজ পড়ে । চাকরাণী, মেথরাণীও দেশের খবর রাখে । জাপানেও তাই । রবিবাবু বল্পেন— জাপানে তার বাসার দাসী তার গীতাঞ্জলির খবর রাখে । দেখুন এই সব জায়গায় জ্ঞানস্পৃহা কত বলবতী । আর আমাদের দেশের দিকে চেয়ে দেখুন। যে বই কেনে সে পড়ে না, আর যার পড়বার ইচ্ছে আছে তার কেনবার পয়সা জোটে না । , তারপর বই চেয়ে নিয়ে গিয়ে ফেরত দেয় না-ওজর দেখায় অমুক बैर গেছে। এই রকমে দিন কতক কাটিয়ে দিয়ে শেষ বইখানার অস্তিত্ব বিলোপ ক’রে দেয় । এই রকম জঘন্য আচরণে লাইব্রেরী উজাড় হ’য়ে গেছে শুনেছি । বাঙ্গালী গয়না গড়াবে, চাদনীতে নানা ফ্যাসানের কাপড় কিনবে, নানা রকম বিলাসে পয়সা নষ্ট করবে, কিন্তু পুস্তকে নয় ; মান্দ্রাজে দেশীয় লোকের খুব বড় পুস্তকের দোকান আছে। উদাহরণ স্বরূপ— গণেশ কোম্পানী ও নটেশন কোম্পানীর নাম করা যেতে পারে। নটেশন মোটর চড়েন। প্রথম দেখে মনে হয়েছিল বইএর দোকান ক’রে মোটর হাকাচ্ছেন অর্থাৎ পৈতৃক সম্পত্তির অপচয় করছেন ।