পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8 অপ্র্যন্ত্রন ওভ ভভাললাভ আমি এখন নিজেকে ছাত্র ব’লে গণ্য করি। ঐ জীবন ত্যাগ ক’রে একদিনও অন্য জীবনে পদার্পণ করেছি বলে মনে হয় না। “ছাত্রাণাং অধ্যয়নং তপঃ”—বাস্তবিক এই ঋষিবাক্য বড় সভ্য— বড় সার কথা । আর আমাদের এই ছাত্রজীবন ও গার্হস্থ্যজীবনের পার্থক্যের প্রাচীর বড়ই অমঙ্গলকর । ইউরোপীয় অবস্থাপন্ন লোকের একটি ষ্টাডী অর্থাৎ পাঠাগার থাকে । সেখানে প্রবেশ করবার অর্থ এই--আর যেন কেউ না দেখে বা ঢোকে। যেমন আমাদের দেশের ঠাকুর-ঘর । ভক্ত সেখানে আপন মনে সাধনা করেন, হৃদয়দেবতাকে ভক্তির অর্ঘ্য দান করেন-কিন্তু তা লোকচক্ষুর অন্তরালে—আর কেহ দেখে না । আমাদের পাঠাগারকে ঠাকুরঘরের পবিত্রতায় মণ্ডিত করতে হবে, তাকে নিভৃতে স্থাপন করতে হবে—যেন চপলতার গোলমাল সেখানে না পৌছায় । আমাদের দেশে অনেক ছাত্র বাড়ীতে থাকেন, আবার অনেকে “মেসে থাকেন। এখানে ছাত্রের প্রধান বিপদ এই যে তার কোন স্বতন্ত্র পাঠাগার থাকে না । বড় লোকে বড় ধাড়ীতে থাকেন— নানাকার্ধের বন্দোবস্তের জন্য তাদের অনেক ব্যয় করতে হয় । কিন্তু বাড়ীর ছেলে কিরূপে কোলাহলের বাইরে নির্জনে বসে পড়বে সাধারণতঃ কোন বাড়ীতেই তার বন্দোবস্ত থাকে না-এরূপ বন্দোবস্ত যে থাকা দরকার তাও কেউ ভাল ক’রে উপলব্ধি করেন না। আর