পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতীয় বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা । ૨૭ (t building in Khulna, and one of the finest buildings in Bengal. কিন্তু আমার মন আর গ্রামমুখী হইতে ইচ্ছ করে না । জামি সেই স্কুলের জন্ত সাধ্যমত চেষ্টা করিয়াছি। কিন্তু কেহ মানুষ হয় নাই। পাশাপাশি গোলামখানা ও জাতীয় বিদ্যালয় থাকৃ— তাহাদের মধ্যে অনন্ত তফাৎ দাড়াইবে । জাতীয় বিদ্যালয়ের ছাত্রেরা মাথা উচু করিয়া থাকে, ইহাদের মধ্যে দেশমাতৃকার প্রতি ভালবাসা জাগ্রত, ইহারা নর-নারায়ণের সেবায় সর্ব্বদা ব্যথ | জাতীয় বিদ্যালয়ের ছাত্রের সব সময় জানে যে ত্যাগ স্বীকার করিতে হইবে । দুভূিক্ষ আর বন্যায় তাহারাই সর্ব্বাগ্রে অগ্রসর হয়। খুলনার দুর্ভিক্ষের জন্য ৩ লক্ষ টাকা ও উত্তর বঙ্গের জল-প্লাবনের জন্ত ৭ লক্ষ টাকা দেশবাস আমার হাতে সমর্পণ করিয়াছিলেন। এই সমস্ত টাকাই আমাকে ব্যান্থে জমা দিতে হইত অথবা দাতাদিগের নিকট ফেরত দিতে হইত যদি জাতীয় বিদ্যালয়ের ছাত্র ও কংগ্রেস কম্মিগণ আমাকে অম্লানবদনে অকাতরে সাহায্য না করিতেন । এই সব স্বেচ্ছাসেবক আসিয়াছিলেন ফরিদপুর, মাদারিপুর, বাজিতপুর, বিক্রমপুর ও বরিশাল হইতে । খুলনার নয়, যশোহরের নয়, পশ্চিম বাংলার নয়, মেদিনীপুর হইতেও বেশী পাই নাই। এখনও ৫০।৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক সেই সকল স্থানে কাজ করিতেছেন। আপনাদের এই জাতীয় বিদ্যালয়টকে রক্ষা করা সর্ব্বতোভাবে কর্ত্তব্য । কিন্তু তাহা বলিয়া আমি ৯০০ শত affiliated স্কুল ভাঙ্গিতে झाइ न । আপনাদের অধিকাংশ কৃষিজীবী, কৃষিই আপনাদের প্রধান উপজীবিকা । নিজের হাতে জমি চাষ করিতে হইবে, নিজেকে কোদাল ধরিতে হইবে—তবেইত ঠিক মানুষ হইবে। so ভাটিয়া, মাড়োয়ারীরা আমাদের দেশকে জয় করিয়াছে কেন ?