পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ মাচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী বসন স্পর্শ করিলেই আরোগ্যলাভ হইবে, ইহাই তখন বিচার শক্তির প্রাথর্ঘ্য প্রমাণ করিতে থাকে। কেহ বা স্বপ্নাদিষ্ট হইয়া ঔষুধ খুজিলেন । কোন রমণীর উপর “আশ্রয়” হইয়াছে, ইত্যাদিবৎ দৈবঘটনার উপর তখন প্রগাঢ় বিশ্বাস জন্মিল । সমগ্র ইউরোপও মধ্যযুগে (Middle Ages) এই শোচনীয় অবস্থায় পতিত হইয়াছিল । লেকী বলেন, চারি সহস্ৰ ধর্ম্ম-শাস্ত্রাভিজ্ঞ (theologians) পিটর । লোম্বার্ড নামক এক মহাপুরুষের বচনাবলীর উপর টাকা করিয়াছেন । উক্ত ঐতিহাসিক অচ্যুত্র লিখিয়াছেন – There was scarcely a town that could not show some relic that had cured the sick...... The virtue of such relics radiated blessings all around them. (1, 41-42), এই গ্রকার অলৌকিক ও দৈবঘটনা লিপিবদ্ধ করিয়া ৫৫ খণ্ড বৃহদায়তন পুস্তক প্রচারিত হইয়াছে। পাঠকগণ ইহাতে বুঝিবেন যে ইউরোপেও কুল্লুকভট্ট ও রঘুনন্দনের ‘জাতিভাই”এর অভাব ছিল না । যে সময়ে লোকে এইপ্রকার কেবল মহাপুরুষগণের উক্তি ও র্তাহাদের টীক টিপ্পনী লইয়া ব্যতিব্যস্ত থাকে, সে সময় প্রকৃত উন্নতি ও গৌরবের সময় নহে, বরং অধোগতির প্রারম্ভ । t’ কিন্তু ভারতের প্রকৃত গৌরবের সময়ের প্রতি দৃষ্টিপাত করা যাক । ভারত যে শাস্ত্রবাদগ্রস্ত হইয়া চিরকাল কুসংস্কারাচ্ছন্ন ছিল, এমন নহে } প্রাচীন ভারতে অনুসন্ধিৎসা-বৃত্তি যথেষ্টই বলবতী ছিল এবং স্বাধীন চিস্তার,স্রোত অপ্রতিহত ভাবে প্রবাহিত হইয়াছিল। এমন কি মহর্ষি কপিল ঈশ্বরের অস্তিত্ব পর্য্যন্ত স্বীকার করেন নাই, কেন না ইহা সহজে প্রমাণ হয় না । কপিল তথাপি বেদের দোহাই দিয়াছেন । যাহা হউক ষড়দর্শন ও উপনিষদে বেদ অভ্রান্ত ও অপৌরুষেয় বলিয়া স্বীকৃত হইয়াছে, হুড়রাং সমগ্র হিন্দুজাতির মুখ বন্ধ হইয়াছে। কিন্তু চার্ব্বাকমুনি শ্রতিও