পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SAAAAAA AAAA AAAA AAAA AMAAA AAAA AAAA SAS A SAS SSAS SSAS "،جمہ চা-পান না বিষপান ? ৩৭১ SAAAAAAASAAAA অধুনা হাটে-বাজারে, পথে-ঘাটে, তটে-বাটে, রেলে-ষ্টীমারে, যেখানে যাও, দেখিবে, চায়ের ডিপো বা চায়ের কলসী । কেবল বাবুরা নহে, চাকর-বাকর, মুটে-মজুর, গাড়োয়ান-কোচম্যান,—সারেঙ্গখালাসী সকলেই চায়ের নেশায় ক্রীতদাস হইয়া উঠিতেছে। চতুর ইংরাজ বণিক দূরে দাড়াইয়া মুচকিয় হাসিতেছে, আর মজা উপভোগ করিতেছে—‘হাবা’ কেমন টোপ গিলিয়াছে ! বাঙ্গালাদেশে যত চা উৎপন্ন হয়, তাহার শতকরা -৯° ভাগ ইংরাজ বণিকের চা-বাগিচায় তৈয়ার হয়, মাত্র ৩ ভাগ দেশীয়রা উৎপন্ন করে। অর্থনীতির দিক দিয়া দেখিলেও বুঝা হয়, ইহাতে কোন জাতির সর্ব্বনাশ হইতেছে। যে ভাবে বাঙ্গালী হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে চ প্রসারলাভ করিতেছে, তাহাতে মনে হয়, মার ৫৭ বৎসরের মধ্যেই গ্রাম্য কৃষকগণও লাঙ্গল চষিতে চষিতে চায়ের পিয়ালায় চুমুক না মারিলে জমীর পাট করিতে পরিবে না। যদি ৩ কোটা ভারতবাসীর এক-পঞ্চমাংশও চায়ের বশীভূত হয়, ৬ কোট ভারতবাসী যদি অনূ্যন এক পয়সাও চায়ের জন্য নিত্য খরচ করে, তাহা হইলে প্রত্যেকে মাসে ৮ আনা এবং বৎসরে ৬ টাকা–এই হিসাবে বৎসরে ৩৬ কোটা টাকা ইংরাষ্ট্র বণিকের পকেট পূর্ণ করিবে। ইহাও ভারতের এক-পঞ্চমাংশ লোকের হিসাব মাত্র, ইহার অধিক লোক যে চা খায় না, তাহ' বলা যায় না ; পরস্তু প্রত্যুেকে এক পয়সাই যে চায়ের জন্য ব্যয় করে-তাহার অধিক ব্যয় করে না, তাঁহারই বা স্থিরতা কি ? এই চা-পানে বাঙ্গালী জাতির স্বাস্থ্যের যে কি সর্ব্বনাশ হইতেছে, তাহাও পরে বুঝাইবার চেষ্টা করিব । এই প্রবন্ধে খাদ্ধ-সমস্তার অবতারণা করা হইল মাত্র।