পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৪০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭৮ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী নাই, কিন্তু আবার পুরাতন অভিজ্ঞতার উপর দাড়াইয়া-নবীন উদ্যোগের সহিত কয়েকটি কেন্দ্রে কায আরম্ভ হইয়াছে । সাধারণ লোক পরিশ্রম করিতে নারাজ ; এমন কি, ধান একবার পাকিয়া উঠিলে ঘর হইতে নড়িতে চাহে না । পরদেশী আসিয়া ধান কাটিয়া মলিয়া গোলায় তুলিয়া দিবে এবং কৃষকগণ পায়ের উপর পা দিয়া বাজারের ভাল মাছ ও বিলাসদ্রব্য কিনিবে । বিলাসিতার স্রোত কলিকাতা হইতে পল্লীগ্রামের অস্তস্তম প্রদেশকেও প্লাবিত করিতেছে। যেখানে সেখানে ছকার পরিবর্ত্তে সিগারেট ; আবার যেখানে যেখানে জিলা বোর্ডের রাস্ত আছে, সেইখানেই মোটরবাস চলিতে আরম্ভ হইয়াছে। সে দিন বাগেরহাটে দেখিলাম, সহর হইতে যাটগম্বুজ মাত্র ৪ মাইল দূরে অবস্থিত। চাষীরা বাকে করিয়া তরি-তরকারী বিক্রয় করিতে আড়ন । কিন্তু ঘরে ফিরিয়া যাইবার সময় ২ আনা ৩ আন দিয়া মোটরে চড়িয়া বসে। আসামের শিলচরে গিয়াও এই প্রকার দৃশ্ব দেখিয়াছি। পাহাড়ীরা পিঠে করিয়া দ্রব্যসম্ভার বেচিতে অক্ষসে । ঘরে ফিরিবার সময় মোটর চড়িয়া আরামে যায়, অথচ এই সমস্ত কৃষিজীবী জমীদার ও মহাজনের নিকট ঋণে ডুবিয়া আছে এবং শিশুসস্তানদিগকে একটু দুধও জোগাইতে পারে ন । আর রাহারা প্রতিদিন সিগারেট ও মোটরে বেশ ২ পয়সা ব্যয় করে । আমি অনেকবার বলিয়াছি, হাইকোর্টের ব্যারিষ্টার ও বিলাতফেব্রুত জাতিমাত্রই সর্ব্বাপেক্ষা স্বদেশদ্রোহী । কেন না, স্বদেশজাত দ্রব্য ব্যবহার ত্বাহীদের নিকট অসভ্যতার পরিচায়ক । হুক, আলবোলা ও ফুরসীতে ধূমপান করিলে তাহাদের জাতি যায়। আর তাহারাই ফ্যাসানের উৎস : আর জনসাধারণকেই বা কি দোষ দিব ? : বাবুরা যাহা করেন, তাহারা তাহারই অনুকরণ করে। ইহাতে দেশের