পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৪১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮৪ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী তাহা বলা যায় না ; আর ইহাদিগেরই বা দোষ দ্বিব কি ? আমি ' গোষ্ঠীপতি মৌলিক, আমার বংশমর্য্যাদা রক্ষার জন্য আমাকে কুলীনকে কন্যাদান করিতে হইবে এবং কুলীনের মেয়ে ভিন্ন আমার বিবাহ করিবার সাধ্য নাই। অথচ এ প্রকার ব্যবস্থা মন্ত, যাজ্ঞবল্ক্য, এমন কি, রঘুনন্দনেও খুজিয়া পাওয়া যায় না। তবে কেন এ শৃঙ্খল আমি পায়ে পরি? নৈতিক দুর্ব্বলতাই আমাদের সর্বনাশের মূল। দৈহিক পক্ষাঘাত অপেক্ষ মানসিক পক্ষাঘাত আরও অধিরতর ক্ষতিকর ; কিন্তু বুঝিয়া স্থঝিয়াও আমাদের সমাজের - নানাবিধ অনিষ্টকর প্রথা নিরাকরণ করিতে অগ্রসর হইতে পারি না । তাই বলিভেছি, এই মানসিক দুর্ব্বলতা পরিহার করিতেই হইবে,—যদি আমরা টিকিয় থাকিতে চাই । - * পরিশেষে একটু আশার বাণী বলিয় উপসংহার করব। এই সাতক্ষীরার সন্নিকটে অর্থাৎ আশাশুনি, বুধহাট, মিত্র তেঁতুলিয়া প্রভৃতি কেন্দ্রে খুলনার দুর্ভিক্ষের পর হইতেই বাজিতপুরের আশ্রমের সেবকবৃন্দ কয়টি সেবাশ্রম খুলিয়াছেন। তাহার। অনুন্নত শ্রেণীর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষাবিস্তারের চেষ্টা করিতেছেন এবং ম্যালেরিয়া, কলেরা, এমন কি গোমড়ক উপস্থিত হইলে যথাসাধ্য ঔষধ বিতরণ করিতেছেন এবং নিজের! যাইয়। জীবনসংশয় করিয়া আর্ত্তের সেবা করিতে ক্রটি করেন না । -খুলনার পরপারেও র্তাহারা আর একটি মুন্দর- বোশ্রম স্থাপন করিয়াছেন এরং নরনারায়ণের কল্যাণে আত্মোৎসর্গ করিয়াছেন । খালিলপুরের ত্যাগী অক্লান্তকর্ম্মী একনিষ্ঠ সাধক শ্রীযুত ঘামিনীভূষণ মিত্র খালিসপুরে আশ্রম খুলিয়া পার্শ্ববর্ত্তী অনেকগুলি গ্রামে চরকা চালাইতেছেন, এবং চরকার স্থতার কাপড় সেই অঞ্চলে বুনাইয়া খন্দর