বাঙ্গালীর মস্তিষ্ক ও তাহার অপব্যবহার , ১১ আর্য্যকুলগৌরব মহাতপা তেজস্ব ব্রাহ্মণ নহেন। তৎপরিবর্তে একদল অযোগ্য স্বার্থপর লোক সমাজে আবির্ভূত হইয়া, পূর্ব্বোক্ত মহাপুরুষগণের পবিত্র নামের দোহাই দিয়া, সমাজের নেতৃত্বভাব গ্রহণ করিয়াছিল এবং স্বকীয় জাতির মহিমা হারাইয়া, কেবল এক গুচ্ছ শ্বেতস্বত্র বা যজ্ঞোপবীতের দোহাই দিয়া, সমাজের শাসন বিষয়ক স্মৃতি, পুরাণ ইত্যাদি কতকগুলি গ্রন্থ রচনা করিয়াছিল। এই সকল अप्ठ्ठबभूल উদ্দেশ্য কেবল ব্রাহ্মণ জাতির মহিমL কীর্ত্তন অর্থাৎ স্বার্থপর ব্রাহ্মণনামধারী প্রভূগণের আধিপত্য বিস্তার ও জীবিকা নির্ব্বাহ বস্তুতঃ ব্রাহ্মণ্য আধিপত্য কুসংস্কারের এক অতি বৃহৎ অধ্যায়। , অনুসন্ধান-প্রবৃত্তি একপ্রকার লুপ্তপ্রায় হইল। যাহা কিছু বৈজ্ঞানিক আভাস জাতীয় শিক্ষা ও জ্ঞানের সহিত ধীরে ধীরে ফুটিয়া উঠিতেছিল, . যে কিছু প্রাকৃতিক দর্শন ইত্যাদির আলোচনার আভাস স্বচিত হইতেছিল, তাহ অত্যন্ত্র কালেই বিনষ্ট হইবার পথে আসিল । এই বিলোপের কারণ শাস্ত্রকারগণের কঠোর আদেশ । মৃতদেহ স্পর্শ করিলে অশৌচ হয়, মচু এই ব্যবস্থা করিয়া বসিলেন, সুতরাং শব-ব্যবচ্ছেদ বিজ্ঞান হইতে তিরোহিত হইল * । কেবল যদি শরীর ব্যবচ্ছেদ নিষেধ করিয়া ক্ষান্ত হইতেন, তাহ হইলেও আমরা আজ র্তাহাদের নিকট কৃতজ্ঞ, হইতাম । সমুদ্র-যাত্রা পর্য্যন্ত ধর্ম্ম-বিগর্হিত কার্য্য বলিয়া নিদিষ্ট হইল। হিয়ানসিংএর ভ্রমণ বৃত্তান্তে জানা যায়, তিনি যখন তাম্রলিপ্ত (তমলুক) হইতে সিংহল'ধাত্র করেন এবং সিংহল হইতে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন, তখন অনেক ব্রাহ্মণ বণিক তাহার সহযাত্রী ছিলেন। শুধু ইহাই । নহে, এক সময়ে হিন্দুদূের অর্ণবপোত অগাধ বারিধি অতিক্রম করিয়া বলি ও যাবাম্বীপে উপনিবেশ স্থাপন করে । এই সকল স্থানে ভগ্নাবশেষ
- See “History of Hindu Chemistry”, P. 193,
