পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালীর মস্তিষ্ক ও তাহার অপব্যবহার ১৭ متی امیہیے ہمہ۔ یہ .حبہ ۔۔۔یہ جمع --چ*** পক্ষান্তরে র্যাহারা সমাজের নেতা বলিয়া . অহঙ্কার করিয়া থাকেন তাহারা বৈষম্যের কল্পিত মাত্রাটা গভীরতর রেখায় অঙ্কিত করিবার প্রয়াস পাইতে লাগিলেন । ইহার অবশুম্ভাবী ফল ফলিয়াছে। স্বদেশপ্রেম ও স্বজাতি-প্রেম নামক স্বৰ্গীয় ভাব দুইটি ভারতবর্ষ হইতে চলিয়া গিয়াছে। বস্তুতঃ স্বদেশপ্রেম বলিয় যে কিছু ভারতবর্ষে কখনও ছিল এমন মনে হয় না, কেন না এই বৈষম্য আজ বল্লশত বর্ষ হইতে সমাজ-হৃদয়ের উষ্ণ শোণিত চুষিয় নিঃশেষ করিতেছে। আপনার ও স্ত্রীপুত্রের জীবিকা সংস্থানই যে জাতির মুখ্য উদ্দেশু, যে জাতি প্রতিবেশীর দুঃখ বোঝে না, যে জাতি আপনার গওঁীর বহির্ভাগে স্বীয় ভালবাসার আনন্দময় প্রভাব বিস্তার করিতে পারে না, যে জাতির সম্মুখে সর্ব্বাপেক্ষা, উচ্চ আদশ—জিজ্ঞাস্থ না इड्रेब শাস্ত্রোক্ত বচনে আত্মসমপণ, সে জাতির হৃদয়ে স্বদেশপ্রেম আসিবে কি প্রকারে? যে দেশের সমাজ হাতে ধরিয়া আশৈশব “তুমি বড়, এ নিকৃষ্ট" ইহাই সযত্নে শেখায়, সে দেশে জাতীয়তার ভাব আসিবে কি প্রকারে ? সে দেশ ক্ষুদ্রের প্রাণের আবেগের সহিত আপনার মহৎ প্রাণের উচ্ছ্বাস মিশাইবে কেমন করিয়া ? ধীরে ধীরে কি এক আশ্চর্য্য পরিবর্তন আসিয়া পৌছিল । ইংরাজরাজের সমাগমে | প্রতীচ্য দেশের এক প্রবল হাওয়া আসিয়া প্রাচ্য জলধি বিচলিত করিল । সেই আবর্ত্তে হাল ধরিতে গিয়া অনেক কর্ণধার ইউরোপীয় সভ্যতার মাদকতায় আপনাদিগের অস্তিত্ব বিসর্জন দিয়াছিলেন সত্য, কিন্তু সেই আমূল পরিবর্তনের দিনে এক মহাপুরুষ আবিভূত হইয়া বাঙ্গালাদেশ কেন, সমগ্র ভারতকে তুলিয়া ধরিবার প্রয়াস পাইলেন। সেই মহাপুরুষের আবির্ভাব, আমি বলি, পূর্ব্ব মহাদেশের সৌভাগ্যাকাশের সর্বপ্রথম নক্ষত্র । ξ