৫৮ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী ঘোষ, ডবলিউ সি ব্যানার্জি, আনন্দমোহন বস্থ প্রভৃতি রাজনৈতিক নেতৃগণ, কলিকাতা সায়ান্স কলেজের প্রাণস্বরুপ স্তর তারকনাথ, ও স্তর রাসবিহার এবং মনস্বী জষ্টিস্ চৌধুরী, স্তর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, ব্যোমকেশ চক্রবর্তী, ও সি, আর, দাস প্রভৃতি ব্যবহারজীবিগণ বাঙলার সকল শুভকার্য্যে অগ্রণীস্বরূপ। রাজনৈতিক আন্দোলনে বিজ্ঞ ব্যবহার|জীবির স্থান কোথায়—মহামতি বার্ক তা অতি স্বনিশ্চিতরূপে নির্দেশ ক’রে গেছেন । কিন্তু ছোট বড় সকল প্রকার আদালতের আনাচেকানাচে ঘুরে বেড়িয়েও র্যারা উপোষ ক’রে থাকৃতে বাধ্য হন, বার-লাইব্রেরীর চাদর পয়সাটা যারা দিয়ে উঠতে পারেন না এবং স্থল বিশেষে এক ছিলিম তামাক পেলে র্যার কয়েক পাত নকল ক’রে দিতে পারেন, এমন সব উকীল কি ওকালতী ব্যাপারটার মর্যাদাহানি করছেন না ? বলছিলাম উকীল তৈরী করবার কলটা যদি বেশ কয়েক বৎসর বন্ধ থাকে তবে গোবেচারী উপোষকারীর দল বেঁচে যেতে পারে। প্রয়োজন ও আয়োজনের মধ্যে অসামঞ্জস্য কত বেশী হয়ে পড়ছে বিবেচনা ক’রে দেখা উচিত। তা হলে আর দফে দফে উকীল তৈরী ক’রে তাদের দফা রফা করবার প্রবৃত্তি হবে না। & • মধ্যবিত্ত বাঙালীর সন্তান ডিগ্রী পেলেই জীবিক সংস্থান করতে পারবে আর ডিগ্রীর অভাবে চারিদিক অন্ধকার দেখবে এটা কত বড় ভূল আজ তা নিঃসংশয়ে বুঝে নিতে হবে । বৎসর বৎসর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কুলম নিয়ে গ্রাজুয়েটের দল জয়পতাকা উড়িয়ে বেড়িয়ে আসচেন। র্তাদের বাজার-দর আজকাল কত ? একটা কর্ম্মখালির বিজ্ঞাপন দেখলে এক ঝুড়ি দরখাস্ত পড়ে—তারপর তার মধ্যে একজন মনোনীত হন । কাজেই বি, এ ৪০ টাকা আর এম-এ ৭.০২ টাকা পেলেও ঐ মাহিয়ানার চাকুরী পাবার সম্ভাবনা গ্রাজুয়েট-সাধারণের পক্ষে কত অল্প
