পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|| 0 নলিনীকান্ত রাডুলিবাসিগণের প্রাণস্বরূপ ছিলেন। তিনি স্বীয় . বাসভবনকে এক সরকারি দপ্তরখানায় পরিণত করিয়াছিলেন ;–একই বাটীতে উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয়, সমবায়ু ঋণদান সমিতির আফিস ৮ সাবরেজেষ্টারি অফিস বিরাজমান । নলিনীকান্ত বাটতে থাকিয়। কর্ণধাররূপে এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলির পরিচালনা করিতেন । ১৩২৯ সালে তাহার মৃত্যু হইয়াছে। - ১২৬৮ সালের শ্রাবণ মাসে প্রফুল্লচন্দ্রের এবং ১২৭১ সালে তাহার অম্বুজ পূর্ণচন্দ্রের জন্ম হয়। সর্ব্বকনিষ্ঠ গোপাল অল্প বয়সেই মারা গিয়াছেন । বাল্যকাল ও শিক্ষ। চতুর্থ বৎসরে প্রফুল্লচন্দ্রের হাতে খড়ি’ ইয়। পাঠশালার পড়া শেষ করিয়া'নলিনীকান্ত ও প্রফুল্লচন্দ্র উভয়েই মধ্য-ইংরাজী, স্কুলে প্রবেশ করেন, পুত্রগণের বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কিরূপে তাহাদিগকে সুশিক্ষা দিবেন ইহাই হরিশ্চন্দ্রের চিন্তার বিষয় হইয়া উঠে । কলিকাতায় রাখিয়া তাহাদিগের পড়ার বিশেষ কোন স্ববন্দোবস্ত করিতে না পারিয়া অগত্য স্বয়ং পুত্র ও পরিজনবর্গকে লইয়া কলিকাতায় গিয়া বাস করিতে আরম্ভ করেন । হরিশ্চন্দ্র নিজেই তাহাদিগের পাঠের তত্ত্বাবধান করিতেন, অন্য কোন গৃহ-শিক্ষকের আবশুক হইত না । - কলিকাতায় আসিয়া জ্ঞানেন্দ্রচন্দ্র হিন্দু স্কুল এবং নলিনীকান্ত ও প্রফুল্লচন্দ্র হেয়ার স্কুলে ভর্তি হন। প্রফুল্লচন্দ্র হেয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণীতে ভর্ত্তি হইলা তথায় চারি বৎসর অধ্যয়ন করুেন। এই সময়ে 'কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূর্ব্ব ভাইস চ্যান্সেলার মাননীয় শ্রীযুক্ত দেবপ্রসাদ সর্ব্বাধিকারী মহাশয় প্রফুল্লচন্দ্রের সহপাঠী ছিলেন। উত্তরকালে প্রফুল্লচন্দ্র মধ্যয়ন ও আহারাদি সম্বন্ধে যেরূপ সংযত ও মিতাচারী