পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৬ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী না, যে-শিক্ষা আমাদের ‘ক’রে খেতে শেখায় না, দুর্ব্বল অসহায় শিশুর মত সংসারপথে ছেড়ে দেয়, সে-শিক্ষার প্রয়োজন কি ? তাই আমি জীবনে কঠোরতার আশ্রয় ক’রে বাঙালী যুবককে ব্যবসায় বাণিজ্য ও শিল্প শিক্ষা করতে আহবান করছি ; কারণ, বাচতে হলে বাঙালীকে আগে অল্পসমস্যার মীমাংসা করতে হবে। এতে যদি কেউ দোষ দেন যে আমি রাঙলার যুবককে মাড়োয়ারী হতে উৎসাহিত করছি তবে সে দোষে আমি দোষী সন্দেহ নেই। যাদের দেশে লক্ষ লক্ষ মণ ধান ও পাট উৎপন্ন হয় ও সেই উৎপন্ন দ্রব্য একহাত থেকে আর একহাতে তুলে দিয়ে মাড়োয়ারী প্রভৃতি বণিকৃগণ মাঝে থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন আর সেই দেশের যুবকের 'হা অল্প ‘হ অন্ন ক’রে কেঁদে বেড়ান, ধিক্ তাদের লেখাপড়াকে । ধিক তাদের ইউনিভারসিটির ডিগ্রীকে ! লেখাপড় কর, মহামনীষীগণ যে-সকল তত্ত্ব লিপিবদ্ধ করে গেছেন তার সঙ্গে সাক্ষাংভাবে পরিচয় লাভ কর, চিস্ত কর, মানসিক শক্তি ও মৌলিকতাকে বিকশিত কর, কিন্তু অন্ত শত পথ পরিত্যাগ ক’রে জীবিকাঅর্জনের জন্যে জ্ঞানশূন্ত হয়ে ডিগ্রীর লোভে ঐ ইউনিভারসিটির মুখে ছুটে না । ইংলণ্ডে যে-সকল বিশ্ববিদ্যালয় আছে তার মধ্যে কতকগুলির নাম করা যেতে পারে যা শিল্পবাণিজ্যের কেন্দ্রস্থলে স্থাপিতৃ হয়েছে। ঘথ ম্যাঞ্চেষ্টার, বার্ম্মিংহাম, লিডস, শেফিল্ড, লিবারপুল প্রভৃতি শিল্পকেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ। এক-একটি ইউনিভারসিটি এক-একটি কলেজের মত, হাজার দেড় হাজার ছাত্র সেখানে অতি যত্নে শিক্ষা ज्ञाड ক’রে থাকে ; এখানকার মত স্থানাভাবে ঠেলাঠেলি বা মারামারি করতে হয় না । প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৯০ লক্ষ অথবা ১ কোটি টাকা দেওয়া (Endowment) আছে । সেই অর্থ