আপন মনের কথা বলতে সক্ষম হবে। আমাদের দেশে হালে পূঁজিবাদ গঠন হতে আরম্ভ হয়েছে। পূঁজিবাদীরা সাহিত্যিক মজুর প্রচুরভাবে খাটাতেও আরম্ভ করেছে। আমাদের দেশে এমন কোন সাহিত্যিক মজুর নাই যিনি পূঁজিবাদীর কাছে তাঁর মজুরী বিক্রয় করার সময় ইচ্ছামত কলম চালাতে সক্ষম হন। তাঁকে পূজিবাদীর মনমত চলতে হয়! আমেরিকা পুরাতন পূঁজিবাদী, ইংলণ্ড তার চেয়েও পুরাতন, অতএব তারা ভাল করেই জানত এবং এখনও ভাল করেই জানে কি করে সাহিত্যিক মজুরদের খাটাতে হয়।
পুরাতন সাহিত্য ঘাঁটা আমার অভ্যাস নেই। নিউইয়র্কে যতগুলি প্রগতিশীল লোকের সংগে আমার দেখা হয়েছিল, প্রায়ই দেখতাম তারা পুরাতন সাহিত্য নিয়ে বেশ ঘাঁটাঘাঁটি করে। জ্যন পেটারসন নামে একটি লোক একদিন আমাকে তার ঘরে নিয়ে যায় এবং আমাদের দেশ সম্বন্ধে নানা লোকের অনেক বই দেখায়। তাতে দেখতে পেলাম একটি সুন্দর প্রবন্ধ রয়েছে। প্রবন্ধটিতে যা লেখা হয়েছে তার সারমর্ম চুম্বকে দিলাম।
“হিন্দুরা কালীমাতার পূজা করে। তারা যখন বৃটিশের বিরুদ্ধে কোন গোপনীয় পরামর্শ করে তখনও কালীমাতার পূজা করেই কর্মস্থলে যায়। যদি কোনও বৃহৎ হত্যাকাজে কৃতকার্য হয় তবে তারা কালীমাতার মুর্তির সামনে নরবলি দেয়।” প্রবন্ধটা বেশ মন দিয়ে পড়েছিলাম বলেই অনেক দিন মনে রয়েছিল। এই প্রবন্ধ মাদার ইণ্ডিয়া নামক বইখানা প্রকাশিত হবার পূর্বেই প্রকাশ হয়েছিল। যিনি ‘সংবাদপত্রের সেবা’ করেছিলেন তার পেট বোধ হয় বেশ মোটা ছিল, নতুবা আমেরিকার গদর পার্টিকে হেয় করার জন্য এত বড় প্রবন্ধ তিনি লেখতেন না। সুখের বিষয় আমেরিকাতে যারা জারনেলিজম্