১০৮
আজকের আমেরিকা
নিলাম। তারা বুঝল আমি নিগ্রো। কুকুর বিড়ালকে দেখে আমরা যেমন ভয় পাই না অথবা কোন অন্যায় কাজ করতে যেমন করে লজ্জা অনুভব করি না তেমনি শ্বেতকায়দের নিগ্রোকে লজ্জা করবার কিছুই নাই, নিগ্রো সেজে আমার প্রশ্নগুলির জবাব পেতে মোটেই কষ্ট হল না।
বাড়িটাতে প্রবেশ করে বেশ করে টহল দিলাম। একটি লোক কাফি খাচ্ছিল। তার কাপ হতে একটু কাফি চেয়ে খেলাম, দেখলাম তাতে দুধ এবং চিনি খুবই কম দেওয়া হয়েছে। বেকার মজুরদের যে খাদ্য দেওয়া হয় তা মোটেই ভাল নয়। লোহার খাটগুলি জেলের কয়দীরা যে খাটে শোয় তার চেয়ে খারাপ। অবশ্য মনে রাখতে হবে আমেরিকার কয়েদীদের যেরূপ খাটে শুতে দেওয়া হয় তা আমাদের দেশের প্রায় মধ্যবিত্তের ঘরেই নাই। রেষ্ট রুমগুলি যেভাবে অপরিষ্কার করে রাখা হয়েছে তা আমেরিকার সভ্যতার একটি খারাপ দৃষ্টান্ত। এসব যখন দেখছিলাম তখন মনে হয়েছিল ইম্পিরিয়েল প্যালেস, ওয়াল্স স্ট্রীট, পন্চম অ্যাভেনিউ এবং বুলওয়ার্ড এসব ধনীদের আরামের বস্তু।
একদিকে ধনীদের উদ্দাম ভোগবিলাস আর অন্যদিকে যে সকল লোক তাদের সারা জীবনের সমস্ত শক্তি সমাজের হিতের জন্য ক্ষয় করেছে তাদের হাহাকার! হাহাকারই বলব, কারণ আমেরিকাতে অর্থহীন হয়ে পরের উপর নির্ভর করে বাঁচাটা আমেরিকানদের পক্ষে হাহাকার ছাড়া আর কিছুই নয়।
আমেরিকার লোকের দারিদ্র্য নানা কারণে এসে দেখা দিয়েছে। যখন একটা জাত সাম্রাজ্যবাদী হতে চলে তখন নিজের ঘরের খবর তাদের রাখবার ফুরসত হয় না। সাম্রাজ্যবাদীরা ভাবে জাতীয় ভাবের মোহে ফেলে জাতকে ভুলিয়ে রাখতে সক্ষম হবে। অনেক ক্ষেত্রে তারা এতে কৃতকার্যও হয়। আমাকে যারা নিউইয়র্কে পথ দেখাতেন, লেকচারের