১১২
আজকের আমেরিকা
তারা একের মুখ অন্যে দেখতে সাহস করে না। কথাটা এখানে আর বেশি বাড়িয়ে বলার দরকার নাই। যদি এ সম্বন্ধে এর চেয়েও বেশি কিছু জানতে চান তবে স্যানফ্রানসিস্কো হতে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা ‘পিপুলস্ ওয়ার্ল্ড” পাঠ করলেই জানতে পারবেন আমেরিকার বুকের উপর ধনীদের নির্মম অত্যাচার কাহিনী। কিন্তু এই শ্রেণীর কাগজ বিদেশে অতি কমই প্রেরিত হয়। প্রথম কারণ হ’ল যে সকল পর্যটক আমেরিকাতে বেড়াতে যায় তারা আশি পৃষ্ঠার সংবাদ পত্রই কেনে। চার পাতার সংবাদপত্র কিনে দশ সেণ্ট খরচ করতে কেউ রাজি নয়। দ্বিতীয় কারণ হ’ল বিদেশে গিয়ে, কে কি রকম পলিটিক্স করছে তার সংবাদ রাখতে চায় না। আরাম এবং আনন্দ নিয়েই সকলে ব্যস্ত। প্রগতিশীল লেখক এবং বিবেচক লোক আমেরিকাতে যেতে মোটেই পছন্দ করে না।
হার্লাম
মানহাটন দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমাংশ হার্লাম নামে পরিচিত। এ স্থানের বাসিন্দা সবাই নিগ্রো। হার্লামের বাড়ি-ঘর নিউইয়র্কএর অন্যান্য বাড়ি-ঘরের মতই। যদি নিগ্রোরা এ অন্চলে বাস না করত তবে এ স্থানটার এত বদনাম হত না। হার্লামে দিনের বেলা আমেরিকানরা খুব কমই আসে। কিন্তু সন্ধ্যার পর হতেই এদিকে শ্বেতকায়দের আগমন শুরু হয়। লণ্ডন, সাংহাই, জিব্রাল্টার, নীস্ এবং আমার মনে হয় প্যারীও