বাসনার দাস। মানুষ বাসনাকে দাবিয়ে রাখতে পারে না। নিগ্রোরাও খাওয়া পায়, আমেরিকানরাও ভুরিভোজন করে। আমেরিকার নিগ্রোদের মন প্রিমিটিভ ষ্টেজে নাই অতএব শ্বেত এবং কালোয় মিলন অনিবার্য। এই মিলনের ফলেই এমন অনেকগুলি নরনারীর জন্ম হয়েছে যারা বর্ণশংকর বলে পরিচিত। নাইট ক্লাবগুলিই সাদায় কালোয় মিলনের স্থান যদি বলা হয় তবে অন্যায় বলা হবে না। অবশ্য তার প্রমাণ আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব হবে না, এটা একটা অনুমান মাত্র। তবে সকল সময় অনেক অনুমান সত্য হয় না। আমার অনুমানও যে ধ্রুব সত্য তা আমি জোর গলায় বলতে পারি না, তবে একথা বলতে পারি সাদায় কালোয় মিলনের ফলে যেসব বর্ণশংকরের জন্ম তাদের জন্মস্থান হারলামেই। সেইজন্য ইউরোপীয়গণ বলেন হারলাম শুধু হারলাম নয়, হারলাম একটি পূর্বদেশীয় “হারেম”। ইউরোপীয়গণ কেন হারলামের উপর হারেমত্ব আরোপ করেন, সে কথার জবাব তারাই ভাল করে দিতে পারবেন। আমি পর্যটক মাত্র, আমি কোন কথার বিচার করার অধিকারী নই।
একদিন লণ্ডনের একটি প্রসিদ্ধ ক্লাবে একজন বিশিষ্ট ধনীর সংগে সাক্ষাৎ হয়। ধনী নিজেই আমার সংগে কথা বলেছিলেন। লণ্ডনে নিজে উপযাচক হয়ে কোন ধনী অথবা সম্মানিতের সংগে আমি সাক্ষাৎ করতে অথবা কথা বলতে যাইনি। এই কাজটি আমার কাছে সর্বদা সর্বত্র অপমানজনক মনে হ’ত। ধনী বলেছিলেন, যেমন করে এদেশে আমরা অশ্বেতকায়দেরে নিজের মাঝে মিশিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছি, তেমনি যদি আমেরিকানরাও নিগ্রোদের তাদের সংগে মিশিয়ে ফেলতে পারত তবে সাদা কালো বলে তাদের কোন বালাই থাকত না। হারলামে থাকবার সময় বেশ ভাল করেই অনুভব করেছিলাম, প্রকাশ্যভাবে কেউ নিগ্রোদের সংগে মিশতে রাজি নয়, কিন্তু গোপনে অনেকেই অনেক কাজ