এসে বলছে, “এই, তোর কাছে সিগারেট আছে?” যখনই বলছি, “হে প্রভু আমিও যে একটি চাই, আপনার কাছে যদি অর্ধদগ্ধ সিগারেটের টুকরা থাকে তবে দয়া করে দিয়ে যান।” অমনি “দুঃখিত” বলে পাশ কাটিয়ে তারা চলে যাচ্ছিল।
ছোট ছোট কাফিখানায় সস্তা দরে কাফি বিক্রি হচ্ছে। এক পেয়ালা কাফি এবং একখানা মারগারিন মিশ্রিত রুটির টুকরা পাঁচ সেণ্টে বিক্রি হচ্ছে। ছোট ছোট মিষ্টির টুকরার দাম এক সেণ্ট। ছোট ছোট মিষ্টির দোকানে খুব ভিড়; ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা শৃঙ্খলা এবং ধৈর্য বজায় রেখে কি সুন্দর দাঁড়িয়ে আছে! এইসব দেখলে আমেরিকার শিক্ষাবিভাগকে ধন্যবাদ না জানিয়ে থাকা যায় না।
বেরিয়ে দেখলাম মিশনারীরা যেমন একদিকে দাঁড়িয়ে ভগবানের গুণ কীর্তন করছেন, একটু দূরে দাঁড়িয়ে নাস্তিকরাও তেমনি ভগবানের নিন্দা করছেন। আর একটু এগিয়ে গিয়ে দেখতে পেলাম, ডিমোক্র্যাসির প্রশংসা করে উচ্চকণ্ঠে লেকচার চলেছে, তার কাছেই আর একদল লোক ডিমোক্র্যাসিকে হিপোক্র্যাসি বলে কমিউনিজ্মএর লেকচার দিচ্ছে। পূর্বেই বলেছি, গ্যাথো গরীবের স্থান। কমিউনিজ্ম এখানকার লোকের প্রাণের জিনিস; তবু, অন্যান্য বক্তাকে কেউ আক্রমণ করছে না। যার বক্তৃতা ভাল হচ্ছে তার বক্তৃতা লোকে নির্বাক হয়ে শুনছে। যার বক্তৃতা লোকের ভাল লাগছে না তার কাছে থেকে লোক চলে যাচ্ছে। এমনও দেখেছি, কোনও কোনও বক্তার সামনে একটিও লোক নাই তবুও বক্তৃতার বিরাম নাই। মাঝে মাঝে এরূপ বক্তার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম। কখনও দেখতাম বক্তা একজন শ্রোতা পেয়েও সুখী। কিন্তু যখনই বলতাম, “কালো লোকের আবার ভগবান কি? আপনাদের মত শ্বেতকায়দের সেবা করা, আপনাদের কথা মেনে চলাই