পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



আজকের আমেরিকা

কেউ বলে, সকল বার্থই ভাড়া হয়ে গিয়েছে, গতকল্য যদি আসতেন। তবে নিশ্চয়ই একটা বার্থ পেয়ে যেতেন। কেউ বলে আগামী ছয় মাসের জন্য সমগ্র জাহাজটাই ভাড়া হয়ে গেছে; এসব কথা শুনে আমি চিন্তিত হয়েছিলাম। বন্ধুবান্ধবদের কাছে সাগর পার হবার উপায় খোঁজবার ভার দিয়েছিলাম এবং নিজেও খুঁজতেছিলাম।

 রেডিওতে লেকচার দেওয়া তখন আমার একটা পেশা হয়ে গিয়েছিল, কারণ সকলেই বিদেশের খবর শুনতে বড়ই উৎসুক ছিল। ডারবানে এসে টিকেট কেনার কাজে ব্যস্ত থাকায় সেদিকে মন দিতে পারিনি। কিন্তু হঠাৎ একদিন এক জন রেডিও ব্রোকার বলল যে, প্রধান এনাউন্সার হলেন একজন প্রাক্তন সৈন্য এবং অনেক জাহাজ কোম্পানীর লোকের সংগে তার সম্বন্ধও রয়েছে। হয়ত রেডিওতে লেকচার দিলে তিনি জাহাজের টিকেট কেনার কোনরূপ সুবিধা করে দিতে পারেন। আমি তৎক্ষণাৎ ডারবানের বেতারে লেকচার দিতে স্বীকৃত হলাম। লেকচার দিবার পর প্রধান এনাউন্সার আমার টিকেট কেনায় সাহায্য করেন। তিনি যদি টিকেট কিনতে আমাকে সাহায্য না করতেন, তবে আমাকে অন্য কোন উপায়ে বিলাত যেতে হ’ত।

 টিকেট কেনা হয়ে গেলে ইস্টলণ্ডন হয়ে পোর্ট এলিজাবেথ হতে কেপটাউনে যাই এবং সেখান থেকে ক্যাসেল লাইনের যাত্রী জাহাজে সাউথহ্যামটনের দিকে রওনা হই।

 কেপটাউনে আমাকে অনেক দিন থাকতে হয়েছিল। কেপটাউন দেখার জন্য অনেক আমেরিকান ও ইউরোপীয়ান লালায়িত। এতে কেউ সফলকাম হয়, আর কেউ হয় না। যারা কেপটাউন দেখার চেষ্টা করে, কৃতকার্য হয়নি, তারাও কেপটাউন সম্বন্ধে বই লিখেছে; সেরূপ বই আমি পাঠ করেছি। দেখেছি, যারা কেপটাউন না দেখেই বই লিখেছে, তাদের