পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৬
আজকের আমেরিকা

সব ছাড়াও আমোদ-প্রমোদের জন্য নানা আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সম্পর্কে আমাদের দেশের লোকদের কয়েকটি কথা বলতে চাই। আমাদের দেশের আমোদ-প্রমোদ এবং আমেরিকার আমোদ-প্রমোদে অনেক প্রভেদ আছে। আমেরিকার প্রত্যেক খেলাতে কিছু অর্থ ব্যয় করতে হয়। তারা অর্থ উপার্জন করতে পারে বলেই খরচ করতেও সক্ষম হয়। বিশ্বমেলাতেও অনুরূপ ব্যবস্থা ছিল। ডুবুরিরা কি করে সমুদ্রের নীচে গিয়ে সেখানে কি আছে দেখে―এমন কি, অনেক সময় সমুদ্রের নীচভাগ সারভে পর্যন্ত করে আসে, আমার তাই দেখতে ইচ্ছা হয়েছিল।

 একটি কাচের ঘর ক্রেইনের সংগে আঁটা রয়েছে। যখনই চারজন লোক এক শত কুড়ি ফিট জলের নীচে যেতে প্রস্তুত হয়, তখনই তাদের ঐ কাচের ঘরে প্রবেশ করিয়ে একশত কুড়ি ফিট ‘সমুদ্রের নীচে নামিয়ে দেওয়া হয়’। এতে সকলেরই বেশ আনন্দ হয়, যদিও এতে মরণের বেশ সম্ভাবনা থাকে। জীবন-মরণ নিয়ে খেলা করতে যে আনন্দ, তা সকলে পছন্দ করে না, কিন্তু আমার তা খুব ভাল লাগে। পঁচিশ সেণ্ট দিয়ে এক শত কুড়ি ফিট নীচে নেমেছিলাম। যতক্ষণ জলের নীচে ছিলাম ততক্ষণ কান দুটা বধির হয়ে ছিল। যখন জলের উপর ভেসে উঠলাম এবং কাচের দরজা খুলে দেওয়া হল, তখন মনে হল নূতন জগতে এসে হাজির হয়েছি। আমাদের দেশে, বিশেষত ইউরোপে এমন অনেক বই আছে―যাতে সাগর সম্বন্ধে অনেক আজগুবি কথা লেখা রয়েছে। কিন্তু পাঠকগণ জেনে সুখী হবেন, সোভিয়েট রুশিয়ার ডুবুরিয়া কাস্পিয়ান সাগরের তলদেশ জরিপ করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাতে অনেক পুরাতন যুগের বাড়িঘরের সন্ধান পেয়েছে। সাগর গর্ভে প্রাপ্ত জিনিসগুলি যত্নের সহিত উঠিয়ে, সর্বসাধারণের দেখবার