লেখাতে অনেক সার কথা রয়েছে। আর যারা কেপটাউন দেখে বই লিখেছে তাদের লেখায় অনেক এলোমেলো ভাব রয়েছে। আমি যখন কেপটাউন সম্বন্ধে বই লিখব, হয়ত তখন অনেক এলোমেলো ভাব তাতে থাকবে, কিন্তু তাতে দুঃখ নাই। কেপটাউন স্বচক্ষে দেখতে পেরেছি এই আনন্দেই আমার বুক ভরা।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি আঁকার ইচ্ছা আজ আমার হচ্ছে না। প্রাকৃতিক দৃশ্য অনেকদিন থাকবে। কিন্তু মানুষের মনের ভাব বদলায় অতি সত্বর। সেই পরিবর্তনশীল মনকে জানতে আমি পছন্দ করি। কেপটাউন সম্বন্ধে যখন কিছু লেখব তখন আজকের দিনের কথাই লেখব আর যারা ভবিষ্যতে সুখময় পৃথিবীতে আসবে তারা তুলনা করে দেখবে তাদের পূর্বপুরুষ কত বর্বর ছিল।
এখনও কয়েকটা কাজ আমার বাকি রয়েছে তা সমাপ্ত করতে হবে। প্রথম কাজ হল, যে পন্চাশ পাউণ্ড জমা দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাতে প্রবেশ করেছিলাম, তা ফিরিয়ে আনতে হবে। দ্বিতীয় কাজ হল, দেখতে হবে কেবিনটি কোথায়।
টাকার রসিদটা ফিরিয়ে দিবার সময় তাতে প্রাপ্তিস্বীকারের স্থানে নাম সই বরে দিলাম এবং পাউণ্ডগুলি গুণে পকেটে রেখে বিদায় নিলাম। কেবিনটা দেখে বেশ আনন্দই হল। কেবিনে আর একজন লোক ছিলেন, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার ভারতবাসী। দুঃখের বিষয় যখন আমি কেবিন দেখতে গিয়েছিলাম তখন তিনি কেবিনে ছিলেন না। কেবিন হতে বাইরে এসে আমার কেপটাউনের বন্ধুবান্ধবদের সংগে কথা বলতে লাগলাম। মিঃ কল্যাণজী (হিন্দু সভার পৃষ্ঠপোষক), মিঃ কেশব (হিন্দু সভার সেক্রেটারী), মিঃ পালসেনীয়া (কেপটাউনের কংগ্রেসের সেক্রেটারী) সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কতকগুলি স্কোলী বালকও