হবার বেলা চিত্তের বিকার হয় এবং উভয় দেশের হবোদেরই যখন চিত্তচান্চল্য ঘটে, তখন বিপথগামী হয়। তবে দুঃখের বিষয় আমেরিকার হবোদের সর্বসাধারণ ঘৃণা করে এবং তাদের জেলে পাঠাবার বন্দোবস্ত করে। আর ভারতের হবোরা ভারতের সর্বসাধারণের মাথায় নারিকেল ভেংগে তাই ভক্ষণ করে আনন্দে জীবন কাটায়। আজ আমার জীবনেও যেন আমেরিকার হবোদের ভাবই ফুটে উঠল। গভীর রাতের ঠাণ্ডাকে অবহেলা করে মাটিতে ঘুমিয়ে পড়লাম। নিদ্রা বেশ হল। ঘুম থেকে উঠে মনে হল দুর্বলের একমাত্র অস্ত্র হল হুকুম তামিল না করা, কিন্তু আমি দেখছি দুর্বল হতেও অধম। প্রকৃতির আদেশের তাঁবেদারী করছি। কেন আমার শরীরে ঠাণ্ডা লাগবে? উত্তম ঘরে উত্তম বিছানায় শোয়াই হল প্রকৃতির আদেশ অমান্য করা, মানুষ বলে পরিচয় দেওয়া। তা যদি না হত তবে আমাতে আর বন্য পশুতে অথবা অসভ্যদের মাঝে পার্থক্য কি?
মলিন মুখে উঠে দাঁড়ালাম। পথে এসে দাঁড়ালাম এবং একটি মোটরের চালককে ইংগিত করা মাত্র সে আমাকে তার মোটরে উঠিয়ে নিল। কোনো হবোকে কেউ মোটরে উঠিয়ে নেয় না কিন্তু যারা হিচ্ হাইক্ করে তাদের অনেকেই সাহায্য করে। কারণ সাহায্যকারী অবগত আছে এই লোকটি দায়ে পড়েই সাহায্য নিচ্ছে, অন্যথায় কখনও সাহায্য নিত না। আমার সাহায্যকারী আমাকে ব্যাফেল পৌঁছে একটি হোটেলের সামনে নামিয়ে দিলেন। আমি আমার সাহায্যকারীকে সেদিন ধন্যবাদও দেইনি কারণ আমার মন হোটেল সম্বন্ধীয় চিন্তাতেই ব্যস্ত ছিল। চিন্তাস্রোতে ভাসতে ভাসতে হোটেলে গেলাম। হোটেলে স্থান পেলাম। স্নান করে খেয়ে যখন রুমে শুতে যাচ্ছি তখন একজন বলল, “এ লোকটা কে হে, স্পেনিস্ হবো নয়ত?” অন্য জন জবাব