পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



আজকের আমেরিকা
১৮৯

হবে। নারী মজুরগণ পুরুষের কষ্ট লাঘব করার জন্য সময় করে এসে পুরুষদের কাছে দাঁড়িয়ে সাহস দিচ্ছে, মিষ্টি কথা বলে পুরুষদের শক্তিশালী করে তুলছে।

 ফোর্ডের কারখানায় মজুরগণ যখন কারখানা বন্ধ থাকে তখনও তারা কিছু পায়। আমেরিকার অন্য কোন কারখানায় সেরূপ কোন ব্যবস্থা নাই। উৎপাদনের চাহিদা মিটিয়ে কল বন্ধ করে দেয়। কলের মালিকগণ লাভের টাকা দিয়ে আনন্দ করে আর মজুরগণ হাঁ করে অপেক্ষা করতে থাকে কখন আবার কল খুলবে। তবে আমাদের দেশের মজুরের মত তারা হাঁ করে থাকে না, তারা অন্য কিছু করে, যেজন্য অনেক সময় সেনেটের মেম্বারদেরও কেঁপে উঠতে হয়। আমার লেখা ভাগ্যক্রমে যদি কোন ভারতীয় মজুর পাঠ করে তবে হয়ত ভাববে আমেরিকার মজুরও হাঁ করে থাকে, আমাদেরও, তাই করা উচিৎ। সেজন্যই কথাটা আরও বিশদভাবে বলতে হচ্ছে। আমার মনে হয় এ সম্বন্ধে পূর্বে অনেক বলা হয়েছে সেজন্য কথা বাড়িয়ে আর লাভ নাই।

 ফোর্ডের কারখানায় দুদিন যাবার পরও মনে হত আবার গিয়ে দেখে আসি, কিন্তু সেরূপ করবার মত সুযোগ আমার হয়ে উঠেনি। আমাকে চিকাগোর দিকে রওয়ানা হবার পূর্বে ডিট্রয়ের আরও অনেক কিছু দেখতে সময় ক্ষেপণ করতে হয়েছিল। ডিট্রয় নগরে অনেকগুলি পার্ক আছে। লেক্‌এর তীরে একটি পার্কে বসেছিলাম আর লেক্‌এর জল কেমন করে তীরে এসে আঘাত করছিল তারই দিকে লক্ষ্য করছিলাম। এমন সময় একটি লোক আমারই পাশে বসল।

 লোকটির কপাল হতে ঘাম পড়ছিল। পোষাক অপরিষ্কার ছিল, পায়ের জুতা ছেঁড়া ছিল। সে আমার কাছে বসেই একটা সিগারেট