পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



১৯০
আজকের আমেরিকা

চাইল। আমি তাকে সিগারেট দিয়ে ভাবলাম এদের যত লজ্জা সবই নিজের লোকের কাছে। অশ্বেতকায়দের কাছে এরা ভিক্ষা করতেও কোনরূপ লজ্জা অনুভব করে না। কারণ, অশ্বেতকায়দের এরা মানুষ বলে স্বীকার করে না। লোকটি যুবক। বয়স বোধহয় আঠার উনিশ হবে। তবে শরীরের গঠন দেখলে মনে হয় তার বয়স চব্বিশ পঁচিশ হবে। যুবক জানত না আমি তাকে ভয়ও করি না, তার কোন তোয়াক্কাও রাখি না। সেজন্যই জিজ্ঞাসা করলাম, “কাজের খোঁজে গিয়েছিলে বুঝি?” লোকটি বলল, “বেশ বুঝতে পেরেছ ত? সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ঘুরে এলাম কোথাও কোন কাজ পেলাম না। পায়ের জুতা ক্ষয় হয়ে গেছে। ভয় করার কিছুই নেই, আর একটা দিন দেখব তারপর হেস্তনেস্ত একটা কিছু ঠিক করে নেব।”

 আমেরিকার যুবকগণ যখন কাজ পায় না তখন তারা গলায় দড়ি দিয়ে গংগায় ডুবতে যায় না। ভাগ্যের উপর সব ছেড়ে দিয়ে পথে বসে না। তাদের দেশে এখনও ভাগ্য এবং ভগবানের স্থান নাই। তাদের আছে পুরুষত্ব। কাপুরুষ, ধূর্ত, এবং ইতরগণই ভাগ্য এবং ভগবানের কথা বলে সকল অন্যায় কাজই করে। যুবককে জিজ্ঞাসা করলাম কোন দিকে যাবে স্থির করেছো? যুবক হেসে বললে “তুমি কি আমাকে গ্রেপ্‌স বয় ভাবলে নাকি? এত বড় শরীরটা কাজেই লাগবে হে। দেখিয়ে দেব, বুঝিয়ে দেব।” তারপর সে কতক্ষণ হাসলে। উঠবার পূর্বে আমার কাছ থেকে দশ সেণ্ট চেয়ে নিয়ে নিকটস্থ একটা রেস্তোরাঁয় বসে এক পেয়ালা কাফি খেয়ে আমার কাছে পুনরায় আসল। তাকে আর একটা সিগারেট দিলাম। সে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বললে, “তুমি কাদের দালাল হে?” আমি হেসে বললাম, “আমি কারো দালাল নই। তবে সবই ত জানি।” যুবক ফের আমাকে জিজ্ঞাসা