বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজকের আমেরিকা
১৯১

করল, “বলত কোন দলে যোগ দেওয়া ভাল?” আমি আরও একটু হেসে বললাম, “আমি কোন দলের সন্ধান রাখি না, আমি বিদেশী পর্যটক। আমি একজন হিন্দু তোমাদের দেশ দেখতে এসেছি। এদেশে নানারূপ দলের কথা আমাদের দেশের লোকের কাছে শুনেই সেজন্যই এত কথা বলতে সক্ষম হলাম। তোমার মত আরও অনেক যুবকের সংগে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে, তারাও আমাকে জিজ্ঞাসা করেছে কোন দলে যোগ দেবে? আমি প্রত্যেককে বলেছি কমিউনিষ্ট দলে যোগ দাও তবেই ভবিষ্যতে ভাল হবে।” যুবক কি একটা কথা বলে আমার কাছ থেকে উঠে চলে গেল। বোধহয় ফ্রেন্‌চ বলেছিল। যখনই কারো রাগ হয় তখনই তাদের মাতৃভাষা কণ্ঠে এসে ভর করে। আমাদের যখন রাগ হয় তখন আমরা ইংলিশ আরবী, ইরাণী সবই বলি শুধু বলি না মাতৃভাষা।

 শক্তিমন্ত যুবকগণ যখন কাজ পায় না তখন তারা দলে যোগ দেয় আমি জানতাম। এই যুবকগণ, প্রায়ই ডাকাতের দল গঠন করে এবং রাজকর্মচারী বড় বড় ধনী, ব্যবসায়ী এবং সর্বসাধারণ দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বেশ শাস্তি দেয়। বড় বড় ডাকাতি, নরহত্যা তাদের দ্বারাই সম্পন্ন হয়। যখনই হত্যার সংখ্যা বেড়ে চলে তখনই সরকারের চাপে ধনীরা নতুন নতুন কাজ আরম্ভ করে। ধনীরা টাকা ব্যাংকে রেখেই সুখী হয়, তারা টাকা খাটাতে চায় না, তারা যখন দেখে লোক না খেয়ে মরছে তখন তারা সুখী হয়। এটা রীতি নয় নীতি। আমেরিকার ধনীরা সেই ‘সুনীতি’ পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়। আজ আমেরিকাতে এত বিল্ডিং উঠেছে এই ডাকাতদেরই আদেশে। এত স্কুল কলেজ, শিশুসদন, বৃদ্ধদের পেন্‌সন, মাতৃজাতির রক্ষা, কারো লেকচার শুনে অথবা কারো