পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



আজকের আমেরিকা
১৯৫

ধনিকদের মত ভূমি সাম্রাজ্যবাদ মোটেই পছন্দ করে না। আমেরিকার মজুর বেশ ভাল করেই জানে তাদের কাঁচা মালের জন্য বিদেশের উপর নির্ভর করতে হয় না। খনিজ দ্রব্য তাদের প্রচুর আছে, তবে কেন কয়েক মণ চিনি, আর শনের জন্য ফিলিপাইনোদের নিজের ঘরে ডেকে এনে কাজ দেওয়া হবে। ফিলিপাইনোরা আমেরিকা হতে একেবারে বিচ্ছিন্ন হউক ইহাই হল মজুর শ্রেণীর মনের কথা। মজুরের কথা শুনে ধনীরা চলে না। ধনীরা মজুরদের খাটায়, মজুরদের প্রতি খারাপ ব্যবহার করে, মজুর তাই মাথা পেতে সহ্য করে, অতএব মজুরের কথার কোন মূল্যই নাই।

 কথা হচ্ছিল বেকার মজুরদের কি করে খাটানো যায়। বৎসরের মধ্যে কয়েক মাসই কলের মালিক কল বন্ধ করে রাখতে বাধ্য হয় কারণ বাজারের চাহিদার বেশি যদি মাল উৎপাদন করা যায় তবে মাল সস্তা হয়ে যাবে, বাজার মন্দা হবে, ডলারের ভাও কমে যাবে, এটা যে একটা মহা ফেসাদ। সেই ফেসাদ কি করে মিটিয়ে ফেলা যাবে তাই নিয়ে হচ্ছিল কথাবার্তা। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের লোক কি করল না করল তা নিয়ে আমেরিকার ধনীরা মোটেই মাথা ঘামাতে চায় না।

 মজুরদের সি, আই, ও হতে বেকারী ভাতা দেওয়া হয়, তাই নিয়ে অনেক ধনী অনেক সময় বিগড়ে যায়। এদিকে যদি মজুর মরে যায় তবে ভবিষ্যতে কাজও চলবে না, মহা চিন্তার বিষয় বটে, সংকটের কথা বটে, বিপদের কথা বটে। মজুরকে খেতে দিতে ভাল লাগে না, মজুর মরে গেলেও কল চলবে না, এটা কি কম চিন্তার বিষয়। স্বর্গভূমি আমেরিকা, তোমার কোলের ধনীরা কি করে শান্তি পেতে পারে সেকথা তারা চিন্তা করে বের করতে পারছে না; তা দেখে চীনের ছোট্ট সোভিয়েটও হাসে! হাসবার কথাই। মানুষের যখন অর্থলিপ্সা বেড়ে