পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২১২
আজকের আমেরিকা

দেয়, অথচ একজনের মুখ দেখে বুঝতে পারে না লোকটি কোন্‌দেশের এবং কোন্ জাতের, সেই লেখকরা করুণার পাত্র ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না। উপসংহারে বলতে বাধ্য হলাম, যাদের মাঝে নিগ্রোবিদ্বেষ রয়েছে, তারা কি করে লেখক হতে পারে, তাও বিবেচ্য বিষয়। লেখকগণ আমার কথা শুনে আমাকে অপমান করতে প্রবৃত্ত হননি। তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে দুঃখিত হয়েছিলেন। আমার মনে হয়, হয়ত তাঁদের লেখার কিছু খোরাক আমি জুগিয়েছিলাম। লেখকগণ যে দেশের লোক হন না কেন, অন্তত নূতন কিছু জানবার আগ্রহ তাদের থাকেই। কথাটা মনে রেখেই এত কথা বলতে সাহস করেছিলাম।

 চিকাগো আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর, অন্তত পক্ষে তিনমাস যদি থাকতাম, তবে অনেক কিছুই জানতে পারতাম আর অনেক কথাই বলতেও পারতাম। কিন্তু সে সুযোগ আমার হয়ে উঠেনি। যে কয়দিন ছিলাম, বুঝতে চেয়েছিলাম, চিকাগোতে এত দস্যুবৃত্তি হয় কেন। এই সাহসিকদের সম্বন্ধে এখানে অনেক কাহিনী শোনা যায়। অনেকে বলেন, যারা অলস, তারাই এসব দুরন্ত কাজ করে থাকে। কিন্তু ব্যাপারটি আসলে ঠিক তা নয়।

 এব্রাহাম্ লিন্‌কন প্রচারিত ‘কাজ কর, ভিক্ষা করো না’ নীতিতে কাজের ফল ভোগ করে পুঁজিবাদী, এবং মজুরকে বাঁচিয়ে রাখবার জন্যে তারা সামান্য কিছু দিয়ে থাকে মাত্র।

 যারা লিন্‌কনের মত মেনে দরজায় দরজায় ‘কাজ দেও’ বলে ঘুরে বেড়াত, তারা কাজ পেত বটে কিন্তু সে কাজ করে মান ইজ্জত বজায় থাকত না। তা হ’ত অন্য ধরণের কেনা গোলামী। উপযুক্ত গুণ থাকলেও ঠিকমত বেতন পাওয়া যেত না। যারা গোলামী করতে