পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজকের আমেরিকা
২১৫

তাঁর প্রথম ভাগে লেখা ভাল হয়নি। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের মনে কতকগুলি বিচারবুদ্ধি প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। সেই বিচার বুদ্ধি আমার মনে সর্বদাই জাগ্রত। সেই বিচারবুদ্ধির দ্বারাই বলছি, জগতের ধর্ম প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতি “যত কয় তত নয়” সত্যটি প্রয়োগ করা চলে। চিকাগোর বেদান্ত সোসাইটি তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ।

 বেদান্ত সোসাইটির দ্বারে গিয়ে মৃদু করাঘাত করলাম। একজন মহিলা এসে দরজা খুলে দিলেন। ঘরে প্রবেশ করলাম। সমস্ত ঘরটা চল্লিশ হাত লম্বা এবং পনর হাত প্রশস্ত। এতেই পার্টিশন দিয়ে রুম করা হয়েছে; স্বামিজীর শারীরিক অবস্থা সেদিন ভাল ছিল না। তিনি সে জন্য বেশি কথা বললেন না। বিদায়ের সময় স্বামিজীকে বললাম, “দেখুন। এখানের আশ্রমটা আরও একটু বড় করুন” স্বামিজী সে কথার উত্তর দিলেন না। আমি এবং মোহিতবাবু দুঃখিত মনেই ফিরে আসলাম। আমি মোহিতবাবুকে জিজ্ঞাসা করলাম, “আর কোথাও কি এদের কোন প্রতিষ্ঠান আছে?” তিনি বললেন, “বোস্টন, এবং সান্‌ফ্রান্‌সিস্‌কোতেও আছে।” বোস্টন আমি যাইনি, সান্‌ফ্রান্‌সিস্‌কোতে গিয়েছিলাম। হলিউডের আত্মকথায় সান্‌ফ্রান্‌সিস্‌কোর আশ্রম সম্বন্ধে বলা হবে।

 চিকাগোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পৃথিবীতে বেশ প্রসিদ্ধিলাভ করেছে। দুঃখের বিষয় এখানে এসে মাত্র দুজন ভারতীয় ছাত্রের নাম শুনতে পেলাম। একজন হলেন আমাদের সুপ্রসিদ্ধ ডাক্তার তারকনাথ দাস এবং অন্যজন হলেন ডাক্তার শর্মা। উভয়েই পৃথিবীবিখ্যাত নর্থ ওয়েস্টারেণ বিশ্ববিদ্যালয় হতে পাস করেন। ডাক্তার দাস দেশে ফিরে আসেন এবং ডাক্তার শর্মা আমেরিকাতেই চাকুরি জোগাড় করেন। সুখের বিষয় আমেরিকাবাসী ডাক্তার শর্মার গুণের আদর