মনে হল―তবে দক্ষিণ ক্যালিফোর্ণিয়াতে মরুভূমির ছবি তুলবার আরও ভাল বন্দোবস্ত আছে।
সল্টলেকের পাশ দিয়ে বেশ সুন্দর পিচ্ দেওয়া পথ চলে গেছে। পথের পাশেই স্বচ্ছ জল সে জলের স্বাদ বড়ই তিক্ত। যে কোন লোক গিয়ে সেখানে সাঁতার কাটতে পারে। জলে ডুবে যাবার ভয় মোটেই নাই। লবণ হ্রদের জলে মানুষ ডোবে না শুনেছিলাম, কিন্তু তা দেখবার সুযোগ হয়নি। সল্টলেক্ দেখে বুঝলাম, বাস্তবিকই জলে প্রচুর পরিমাণে লবণ রয়েছে, সেখানে লোক জলে ডুবে নীচে যেতে পারে না; আমি তিরিশ হাত জলের নীচ হতে ডুব দিয়ে মাটি উঠাতে পারি, কিন্তু এই হ্রদের জলে তিন হাত নীচে গেলেই দম বন্ধ হয়ে যাবার মত হয়।
হ্রদের তীরে কোথাও একফুট, কোথাও অর্ধফুট উঁচু হয়ে লবণ পড়ে আছে। কিন্তু আমেরিকার লোক এখনও তত গরীব হয়নি যে, এখান হতে লবণ উঠিয়ে সেই লবণের ব্যবসায়ে প্রবৃত্ত হবে।
অনেকক্ষণ হ্রদে এবং হ্রদের তীরে অবস্থিত ষ্টুডিওগুলিতে ভ্রমণ করে আমরা সামনের পর্বতমালার দিকে অগ্রসর হলাম। রকি এবং আন্দিজ পর্বতমালার নাম পৃথিবীতে সুপরিচিত। আমরা এই পর্বতমালার উপর দিয়ে চললাম।
আমেরিকাতে রকি এবং অন্দিজ পর্বতমালা দেখবার জন্য সবাই ব্যগ্র। এই পর্বতমালার ঢালুতে অবস্থিত হলিউড, লস্এন্জেলস্, সানফ্রান্সিস্কো, সিয়েটেল প্রভৃতি সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর স্থান। পূর্ব দিকের লোক যখন কালিফরনিয়া দেখতে আসে তখন তাদের মস্ত বড় একটা পর্বত পার হতে হয়, সেই পর্বতই রুকি। আমি এবং মোহিতবাবু সেই পর্বতের উপর দিয়ে মোটরে করে চলছিলাম।