আজকের আমেরিকা
২২১
মোটর কারে বসেও কত উঁচুতে চলছি তা বুঝা যায় যদি একটি যন্ত্র থাকে। সেই যন্ত্রটি ছোট একটি ঘড়ির মতই তবে তা আমাদের কাছে ছিল না, তাই মনে হচ্ছিল মামুলী পাহাড়ে পথেই চলেছি। অনেক স্থানে আবার সমতল ভূমি। সেই সমতল ভূমিতে যে সকল উদ্ভিদ জন্মে তা দেখলে মন অপ্রসন্ন হয়। দেখতে মোটেই ইচ্ছা করে না। এরূপ সমতল ভূমি অনেকক্ষণ চলে আবার আমরা একটু পাহাড়ে স্থানে আসলাম। পাহাড়ের দুপাশে ছোট ছোট গ্রাম। গ্রামগুলিকে কেম্প বললেও চলে। লোকসংখ্যা কত তা গ্রামের বাইরে মস্ত একটা সাইন বোর্ডে লেখা থাকে। গ্রামে যদি দুজন লোকও এসে রাত্রে থাকে তবে বলা হয় গ্রামের লোকসংখ্যা বাড়ল অথবা যদি কোন লোক গ্রাম হতে অন্যত্র যায় তবে বলা হয় গ্রামের লোকসংখ্যা কমল। প্রিমিটিভ ধরনে সেই গ্রামগুলি তৈরী করা হয়েছে। এমন কি কেবিন যাকে হামরা বলি তাও এর চেয়ে ভাল বললে দোষ হয় না।
আমরা একটি গ্রামে আসলাম। গ্রামের লোকসংখ্যা দুজন। অশা করেছিলাম এদের সংগে সাক্ষাৎ হলে একটু কথা বলব কিন্তু গ্রামের দুই জন বাসিন্দার কেউই তখন গ্রামে উপস্থিত ছিলেন না সেজন্য আমাদের শূন্য গ্রামেই বেড়াতে হয়েছিল। আমি বলেছি গ্রাম আদিম যুগের প্রথামতে প্রস্তুত। তার মানে এমন কিছু নয় যা নিয়ে আমরা বেশ হাসতে পারি। গ্রামে চারটি বাড়ি। দুটি বাড়ি তিন তলা আর একটি দু তলা অন্যটি এক তলা। প্রত্যেক বাড়ি কাঠের তৈরী। কাঠগুলি অর্ডার দিয়ে কেনা হয়নি। কাঠগুলি হয় পথ হতে কুড়িয়ে আনা হয়েছে নয়ত কোন কেবিন ভেংগে পড়েছিল যা হতে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঘরের অনেক স্থানে বেনজিনের টিন কেটেও লাগান হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ঘরগুলি দেখলেই মনে হয়