যাচ্ছিলাম! কিন্তু তার পূর্বে একটি ঘটনা ঘটল। সেই ঘটনা হল আমাদের একমাত্র ড্রাইভার মিঃ মোহিত বাবুর ক্রমাগত ঘুম পাচ্ছিল আর হাত দুখানা অবশ হয়ে আসছিল। দুরাত্র দুদিন ক্রমাগত বেচারী মোটর চালিয়েছেন। মানুষের সহ্যেরও একটা সীমা আছে। বুঝে নিন কালার বারের কত শক্তি। কোথাও রাত্র কাটাবার স্থান পাইনি। সেদিন আমার মনে হয়েছিল স্বদেশের একটি ঘটনা। দেশের কথা বলতে মুখে বাধে। মুখে দেশের কথা আটকে যাবার দুটি কারণ। যাদের কথা বলতে যাচ্ছি তারা হয়ত অপমানিত হয়েছে বলে রাগ করবে, আর যাদের অন্যায় আচরণের কথা বলব। তাদেরই স্বধর্মে আমি জন্মেছি। অতএব ভারতের অত্যাচারিত শ্রেণীর লোক তোমাদের কথা তোমরাই বল, আমি তোমাদের কথায় সায় দিব কিন্তু তোমরা যতদিন তোমাদের দুঃখের কথা না বলছ ততদিন আমি মনে করব তোমাদের দুঃখ বলতে কিছুই নাই। মহাত্মাগণ অপরের দুঃখে দুঃখিত হন, কিন্তু তোমরা এমনই স্তরে রয়েছো যে, তোমাদের দুঃখের কথা যদি তোমাদের স্বদেশবাসী বলে তবে তোমরা অপমান বোধ কর। অতএব এক্ষেত্রে আমি নীরব থাকাই পছন্দ করি।
আমরা একটি সুন্দর স্থানে এসেছি। তথায় একটি গ্রাম অবস্থিত। গ্রামে তিনটি মাত্র স্ট্রীট। দুটি স্ট্রীট সমান্তরাল হয়ে এসে তৃতীয় স্ট্রীটে মিশেছে। গ্রামের স্ট্রীটে এস্ফাল্ত অথবা সিমেণ্ট করা নাই। গ্রেভেল দেওয়া পথের উপর ইট ভেংগে দেওয়া হয়েছে, ইচ্ছা করলে খালি পায়েও হাঁটা যায়। গ্রামে একখানা ইহুদীর হোটেল ছিল। ইহুদী বড়ই সাহসী। সে এন্টিফেসিস্ট এবং কমিউনিষ্ট। কমিউনিষ্ট হলেই লোকগুলি একটু উগ্র, কর্মঠ এবং সাহসী হয়। সে আমাদের অনুরোধ এক কথায় মেনে নিল। সে বলল, মানুষ মানুষই, কালা ধলা বিচার্য