পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৪
আজকের আমেরিকা

হাওড়া থেকে আরম্ভ করে চন্দননগর পর্যন্ত প্রস্তুত করা হয় এবং তার উপর যদি বোম্বাইএর মত ইলেক্‌ট্রিক ট্রেণ চলে তবে তা দেখতে যেমন হবে, এলিভেটরও ঠিক সেরূপ। এলিভেটরের উপর লিফ্‌ট্‌এ করে ওঠা যায়, পায়ে হেঁটে উপরে উঠার সিঁড়িও আছে। যাদের ভূঁড়ি মোটা তাদের পায়ে হেঁটে এলিভেটরে উঠতে দেখা যায়। অনেকের বিশ্বাস হেঁটে এলিভেটরে উঠলে পেট কমে। টাইম্‌স্‌ স্কোয়ারের কাছে, এলিভেটরের স্টেশনে বিকাল বেলা এবং রাত্রি দুটার পর ভয়ানক ভিড় হয়। এখানে নূতন জীবনের স্বাদপ্রাপ্ত তরুণ-তরুণীরই ভিড় বেশী!

 নভেম্বর, ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি, এই তিনটি মাস নিউইয়র্ক নগরের গরিব লোকের পক্ষে বড়ই কষ্টকর সময়। যাদের ঘরভাড়া দিবার ক্ষমতা থাকে না, শীতে তাদের বড় কষ্ট হয়। শীত মানুষকে যেমন পরিশ্রমী করে তেমনি শক্তিহীনও করে দেয়। যাদের শক্তিহীন করে দেয়, তারাই বিপদে পড়ে। শীতের তীব্রতায় পথে আশ্রয়ের সন্ধানে হেঁটে যখন একেবারে কাতর হয়ে পড়ে তখন সেই ধনী দেশের গরিব লোকেরা আণ্ডার গ্রাউণ্ড রেলওয়েতে গিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ে। পাতাল শীতের সময় গরম থাকে। কিন্তু খাবার খেতে তাদের আবার মাটির উপর উঠে আসতে হয়। উপর নীচে যাওয়া আসা করতে দশ সেণ্টের দরকার। অথচ দশ সেণ্ট খরচ করলে ছোটখাটো গরিব-হোটেলে রাত কাটান যায়। তবু গরিবেরা পাতাল প্রবেশ করে, শুনেছি শীত ছাড়া আরও কারণ আছে। কিন্তু সেকথা আমার বলে দরকার নাই, মিস্‌ মেয়ো যদি তা বলতেন তবেই ভাল হত। শোনা যায় আমেরিকায় এই শ্রেণীর গরিবদের মনের গতি তত ভাল নয়।

 আমেরিকায় বেকারদের জন্য সাপ্তাহিক খাইখরচ বাবদ সাহায্য