পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
১৩১

 মুহম্মদ হুসেন্ ইংরেজ পক্ষে যোগদানের জন্য চেষ্টা করিয়াছিল; সে আরও কয়েকজনকে দলে টানিতে চেষ্টা করে। হুসেন দোষ স্বীকার করিল। কর্ণেল সেহ্‌গল্‌ অনুসন্ধানের আদেশ দিলেন। তাহাদের তিন জনকে ডিভিসনাল্‌ হেড্‌ কোয়ার্টারে পাঠানো হইল।

১৫ই মার্চ ১৯৪৫:

 কর্ণেল্ শাহ নওয়াজের রণাঙ্গন হইতে যে সংবাদ পাওয়া গেল তাহা ভালোই। গত ১৬ই তারিখে আমাদের সৈন্যদল দুইটি পাহাড় দখল করিয়াছে। খান মুহম্মদ পাহাড়ের উপর ইংরেজদের এই ঘাঁটি আক্রমণে নেতৃত্ব করেন। তখন রাত্রি তিনটা। তীব্র হাতাহাতি যুদ্ধের পর শত্রু পরাজিত হয়। শত্রুপক্ষে প্রায় ২০০ সৈন্য নিহত হইয়াছে। আমাদের দিকে হত হইয়াছে মাত্র ২ জন, আর আহতের সংখ্যা ১০ জন।

 আজ ব্যানার্জির মৃত্যুসংবাদ শুনিলাম। পোপায় একটি খণ্ডযুদ্ধে তাঁহার মৃত্যু হইয়াছে। আজ আর কিছু ভালো লাগিতেছে না।

১৯শে মার্চ ১৯৪৫:

 আজ কর্ণেল ধীলনের নিকট হইতে সুসংবাদ আসিয়াছে। একটা যুদ্ধে আমাদের সৈনিকরা অসীম বীরত্ব দেখাইয়াছে। নেতাজীর নিকট রিপোর্ট যাইতেছে। জ্ঞান সিংএর সহিত পরিচয় ছিল। তাহার মৃত্যু সংবাদে মন খারাপ হইয়া গেল। কিন্তু এ মৃত্যু বীরের।

 ঙগ্লাইঙ্গের নিকটে লেফ্‌ট্‌ন্যাণ্ট কর্ত্তার সিংএর অধীনে একদল এবং কন্‌জাউঙ্গের উত্তর-পূর্বে লেফ্‌ট্‌ন্যাণ্ট জ্ঞান সিংএর অধীনে একদল সৈন্য ছিল। নিকটেই ছিল একদল জাপানী সৈন্য; তাহার নায়ক—কাপ্তেন মিদোরি কাওয়া।