পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
৩৩

 আমি বলিলাম—‘আমার এখন দরকার অন্নের ব্যবস্থার।’

 ‘তাহার জন্য চিন্তা নাই। আমি সব ব্যবস্থা করিয়া দিব।’

 যাক—উপস্থিত অনাহার হইতে রক্ষা পাইলাম।

৯ই জুন ১৯৪২:

 আজ ব্যানার্জি বলিলেন—‘ব্যাঙ্ককে আমাদের একটা বিরাট সম্মেলন হইবে। রাসবিহারী বাবু উপস্থিত থাকিবেন। আপনি যদি যাইতে চাহেন আমি লইয়া যাইতে পারি।’

 রেঙ্গুন আর ভালো লাগিতেছে না—রাজি হইলাম।

১০ই জুন ১৯৪২:

 আজ খুব ভোরে আমি, ব্যানার্জি ও আরও দুইজন একসঙ্গে একটা মোটরে এরোড্রামে গেলাম।

 এরোপ্লেন্‌টির ভিতরে আটজনের বসিবার জায়গা। প্রত্যেকটি চেয়ারে গদি আঁটা— সামনে একটুখানি টেবিল। বেশ আরামে যাওয়া যাইবে।

১৫ই জুন ১৯৪২: ব্যাঙ্কক্:

 আজ সম্মেলনের সভাপতি রাসবিহারী বসু বিবর্ণ রঞ্জিত কংগ্রেস-পতাকা উত্তোলন করিলেন। সভাস্থলে মহাত্মা গান্ধীর এক প্রকাণ্ড ছবি রহিয়াছে।

 সভায় এক শত দশজন প্রতিনিধি আসিয়াছেন; জাপান, চীন, জাভা, ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ, বোর্ণিও, সুমাত্রা, ইন্দোচীন, থাইল্যাণ্ড, বার্মা প্রভৃতি নানা দেশ হইতে।

 ব্যানার্জি বলিলেন—‘ইংরেজরা যখন জাপানীদের কাছে আত্মসমর্পণ