পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৮
আজাদ হিন্দ ফৌজ

দলকে আক্রমণের উদ্দেশ্যে আজাদ হিন্দ ফৌজের একজন অফিসারের অধীনে টুঙ্গুনের ‘পশ্চিমে প্রেরণ করা হয়।

 সাক্ষী বলেন যে, সদর কার্য্যালয়ে মহম্মদ হোসেন এবং আরও দুইজনকে তিনি বন্দীরূপে দেখিতে পান। মহম্মদ হোসেন নিজে দল ত্যাগ করিতে চেষ্টা করে এবং অপরকে এই উদ্দেশ্যে উস্কানি দেয়, অন্যান্য দুইজনেও দলত্যাগ করিতে চেষ্টা করে। কর্ণেন্স সেহগল জিজ্ঞাসা করেন, তাহারা দোষী কি নির্দ্দোষ। মহম্মদ হোসেন নিজেকে দোষী স্বীকার করে কিন্তু অপর দুইজন নির্দ্দোষ বলিয়া ঘোষণা করে। এই তিনজনকে ডিভিসনের সদর কার্য্যালয়ে পাঠান হয়।

 সরকার পক্ষীয় সাক্ষী সিপাহী জয়গিরি রাম বাহিনী ত্যাগের অভিপ্রায় ব্যক্ত করায় কি করিয়া মহম্মদ হুসেনকে গুলী করিয়া হত্যা করা হয় তাহা বিবৃত করিয়া বলে যে, তিনজনকে গুলী করার জন্য যে সকল লোক নিযুক্ত করা হইয়াছিল সে তাহাদের একজন। সে আরও বলে যে নিহত ব্যক্তি—মহম্মদ হুসেন পোপা পাহাড় অঞ্চলে কর্ণেল শাহনওয়াজের নিকট স্বীকার করে যে, চরম দুর্দ্দশায় পতিত হইয়াই সে পলায়নের চেষ্টা করিয়াছিল এবং তজ্জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। কিন্তু মহম্মদ হুসেনকে চক্ষু ও হস্ত বদ্ধ অবস্থায় একটা গাছের গুড়িতে ঠেস দিয়া বসাইয়া লেফটেন্যাণ্ট আয়া সিং, সাক্ষী ও অপর দুই জনকে তাহাকে গুলি করিতে আদেশ দেয়। সাক্ষী পরে পলাইয়া বৃটিশ বাহিনীতে যোগ দেয়। অপর সাক্ষী ১।১৩ সীমান্ত বন্দুকধারী বাহিনীর হাবিলদার গুলাম মহম্মদ তাহার সাক্ষ্যে বলে যে, এই বৎসর মার্চ্চ মাসে জনৈক জাতীয় বাহিনী অফিসারের অধীনস্থ একদল জাপানী সৈন্য মিত্রপক্ষের গুলীবর্ষণের শব্দ শুনিয়া পলাইয়া যায়। সাক্ষী এই প্রসঙ্গেই বলে যে একজন জাতীয় বাহিনীর অফিসারের অধীনে একজন জাপানী অফিসার এবং দুইটি জাপানী সৈন্যদল আক্রমণের কার্য্যে নিযুক্ত হইয়াছিল।