পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১০৯

ইম্ফল যুদ্ধের প্রস্তুতি

 সিপাহী দল সা খানের পর সরকার পক্ষের সাক্ষী ১।১৩ ফ্রণ্টিয়ার ফোর্স রাইফেল বাহিনীর হাবিলদার নবাব খানকে জেরা করা হয়। সাক্ষী বলে যে, সে ১৯৪৩ সালের অক্টোবর মাসে আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দেয়। তাহাকে ১নং গেরিলা রেজিমেণ্টের সুভাষ ব্রিগেডে নিযুক্ত করা হয়।

 ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ ছিলেন ব্রিগ্রেড্ কমাণ্ডার। ১৯৪৪ সালের মে মাসে শাহনওয়াজ লেঃ আবদুর রহমানকে ইনতানগীতে জাপানী বিভাগীয় হেড কোয়ার্টার্সে যাইতে বলেন।

 শাহনওয়াজ আরও বলেন যে, সাক্ষীর ব্রিগেড ইম্ফল অঞ্চলে যাইবে এবং ৬ মাস ২ শত সৈনিকের জন্য রসদ সরবরাহের জন্য দায়ী থাকিবে। পরবানাদের একটি দল ও গাড়োয়ালীদের একটি দল ১৫ই মে ব্রিটিশদিগকে আক্রমণ করিয়া যতদূর সম্ভব রসদ হস্তগত করিবে ও তারপর ফালাম কালেমিয়ো রাস্তায় মূল ঘাঁটিগুলির কোনও একটিতে ফিরিয়া যাইবে।

 ৭।৮ দিন ঐ স্থানে থাকিয়া সাক্ষী ব্রিটিশ সেনাদলে যোগদান করে এবং পরে বাড়ী চলিয়া যায়।

 শ্রীযুত দেশাই—আপনি যে সকল বিবরণী দিয়াছেন, তাহা হইতে আমি ধরিয়া লইতেছি যে, আপনি একটি সুগঠিত বাহিনী আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈনিক ছিলেন। —হাঁ।

 উত্তর—গেরিলা বাহিনীর একজন লোকও পিছু হটে নাই। পরে রেজিমেণ্ট ও কোম্পানীর সেনাপতিরা নাম চাহিয়া পাঠাইয়াছিলেন যে, কাহারা কাহারা রণক্ষেত্রে যাইতে ইচ্ছুক নয়; কেহ নাম দিয়াছিলেন কি না, আমি জানি না।

 অপর একটি প্রশ্নের উত্তরে সাক্ষী বলে যে, ফালাম ভারত সীমান্ত হইতে প্রায় ৩৫ মাইল দূরে।