পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১০
আজাদ হিন্দ ফৌজ

 প্রশ্ন—আপনি ব্রিটিশ পক্ষে চলিয়া যাইবার পর আপনি কি আজাদ হিন্দ ফৌজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়াছিলেন?

 উত্তর—পুনরায় বৃটিশ বাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর আমি বাড়ী চলিয়া যাই।

 প্রশ্ন—আপনাকে যাইতে দেওয়া হয়? —হাঁ।

 আদালতের প্রশ্নের উত্তরে সাক্ষী বলে যে, চাউলের বরাদ্দের সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ১০ বা ১২ আউন্স। রেশনের কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ ছিল না। অনেক সময় মোটেই রেশন পাওয়া যাইত না। তখন সৈনিকরা জঙ্গলে যাইয়া কলা বা যাহা কিছু পাওয়া যায় তাহা লইয়া আসিত ৷

হনুমান প্রসাদের সাক্ষ্য

 সিপাহী হনুমানপ্রসাদ নামক জনৈক নার্সিং আর্দালী তাহার সাক্ষ্যে বলে যে, সে ১৯৪৩ সালের এপ্রিল মাসে আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দিয়াছিল। সে নেহরু ব্রিগেডের ৭ম ব্যাটেলিয়নে ছিল। ১৯৪৪ সালের অক্টোবর-নবেম্বর মাসে তাহার ব্রিগেড ব্রহ্মের মিনগানে যায়। মেজর ধীলন এই ব্রিগেডের অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৪৫ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারী সাক্ষীর ব্রিগেভ পোপা যাইতে আদিষ্ট হয়। অতঃপর সাক্ষীকে পোপা হইতে প্রায় ৩৫ মাইল দূরে ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার্সে পাঠান হয়। ১৬ই মার্চ সাক্ষী একটি গুলীর শব্দ শুনিতে পায়। প্রায় আধ ঘণ্টা পর বৃটিশ ভারতীর বাহিনীয় দুইটি ট্যাঙ্ক ও ৪০ জন গুর্খা তাহাদিগকে আক্রমণ করে। সাক্ষী অতঃপর বলে, “আমাদের সৈনিকরা পশ্চাদপসরণ করিতে আরম্ভ করে। তখন দলের নায়ক আমাদিগকে পলায়ন করিতে নিষেধ করিয়া প্রতি আক্রমণ করিতে বলেন। আমরা তাহা করি। এই গোলাগুলি বর্ষণ চার-পাঁচ মিনিট স্থায়ী হইয়াছিল। আমাদের দলের সেনাপতি নিহত হইলে আমরা আত্মসমর্পণ করি। আমাদের দলে