পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১১১

আমরা ৯০ জন ছিলাম। আহতদের লইয়া আমরা ৪৭ জন গুর্খাদের হাতে রন্দী হই। দলের অন্যান্যের কি হয় আমি জানি না।”

নবাব খানের সাক্ষ্য

 অতঃপর ভারতীয় সিগন্যাল বাহিনীর ল্যান্সনায়ক মহম্মদ সৈয়দের সাক্ষ্য গৃহীত হয়। শ্রীযুক্ত দেশাই-এর জেরার উত্তরে সাক্ষী বলে—পোপা হিলে এক সভায় লেঃ কর্ণেল সেহগল তাহাদিগকে বলেন যে, যাহারা যুদ্ধের কঠোরতা সহ্য করিতে অক্ষম তাহারা তাঁহার নিকট তাহাদের নাম দিতে পারে, তিনি তাহাদিগকে রণক্ষেত্রের পশ্চাদ্ভাগে পাঠাইয়া দিবেন। তিনি ইহাও জানিতে চান যে কোন অফিসার বা সৈনিক অপর পক্ষে চলিয়া যাইতে ইচ্ছুক কি না। কেহই এরূপ ইচ্ছা জ্ঞাপন করে নাই। যাহারা অপর পক্ষে যাইতে চাহে তাহাদের নিরাপত্তা রক্ষা করা হইবে বলিয়া লেঃ কর্ণেল সেহগল কিছু বলিয়াছিলেন কি না, তাহা সাক্ষীর স্মরণ নাই। সেহগলের বক্তৃতার পর দুইজন সৈনিক আসিয়া বলে যে, তাহারা পুরোভাগে যাইতে অনিচ্ছুক। তাহাদের একজনের শরীর সুস্থ ছিল না এবং অপর জন বিমান আক্রমণে ভীত হইয়া পড়িয়াছিল। তাহাদিগকে ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার্সে পাঠাইয়া দেওয়া হয়।

আরও প্রশ্নের উত্তরে সাক্ষী বলে, “নেতাজী আমাদের নিকট এক দীর্ঘ বক্তৃতা করিয়া আমাদিগকে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করিতে উৎসাহিত করেন। আমি ও অন্যান্যেরা এই উদ্দেশ্যেই যুদ্ধ করিতেছি বলিয়া তৎকালে স্বীকার করিয়া লইয়াছিলাম। নেতাজী আরও বলেন যে, আমরা দারিদ্র্য-পীড়িত লক্ষ লক্ষ ভারতবাসীর প্রতিনিধি। রাষ্ট্রের যতখানি সাধ্য আছে, তাহা দ্বারা তাহাদের জন্য তিনি যে সামান্য পকেট খরচ ও আহার্য্য যোগাইতে পারিতেছেন, তাহাতেই তাহাদের সন্তুষ্ট থাকা উচিত।”