পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১১৭

লেঃ কর্ণেল কিটসনের সাক্ষ্য

 ৭ই ডিসেম্বর, গুর্খা রাইফেলের লেঃ কর্ণেল জে এ কিটসন তাঁহার সাক্ষ্যে বিশেষভাবে ক্যাপ্টেন সেহগলের আত্মসমর্পণের কাহিনী বর্ণনা করেন। তিনি বলেন যে, ইরাবতীর বাম তীরের একটি গ্রাম যখন তাঁহার সৈন্যগণ আক্রমণ করে, তখন ক্যাপ্টেন সেহগল প্রায় ৪০ জন উচ্চপদস্থ কর্ম্মচারী এবং পাঁচশত সৈনিকসহ আত্মসমর্পণ করেন।

 কর্ণেল কিটসন বলেন যে, ১৯৪৫ সালের ২৮শে এপ্রিল বেলা প্রায় ১০টার সময় জনৈক অগ্রগামী সৈন্যের নিকট খবর পাইয়া তিনি মাগিগান গ্রামের প্রায় ছয়শত গজ উত্তরে তাঁহার সেনাবাহিনীর গতি বন্ধ করেন এবং আর একদল সৈন্যকে গ্রামের দক্ষিণ দিকে প্রেরণ করেন। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে গুলীর আওয়াজ শুনিয়া তিনি বুঝিতে পারেন যে, এই গ্রামে শত্রু আছে এবং এই কথা মনে করিয়া তিনি উত্তর ভাগের সৈন্যবাহিনীকে অগ্রসর হইতে বলেন।

 অপর একটি খবর পাইয়া তিনি যখন গ্রামের পূর্ব্বদিকে উপস্থিত হন তখন তিনি তাঁহার দলের অধিনায়কের সহিত ক্যাপ্টেন সেহগল, ভারতীয় জাতীয়বাহিনীর কয়েকজন উচ্চ পদস্থ কর্ম্মচারী এবং কয়েকজন সাধারণ সৈনিককে দেখিতে পান। জাতীয় বাহিনীর অন্যান্য সকলে ধরা পড়ে। ইহার পর এই সেনাধীনায়কটি কর্ণেল কিটসনের হাতে একখানি চিট কাগজ দেন। এই চিট কাগজে ক্যাপ্টেন সেহগল আত্মসমর্পণের প্রস্তাব জানাইয়াছিলেন। প্রায় দুইমাস পরে তিনি উক্ত চিটকাগজখানি নষ্ট করিয়া ফেলেন। উহা বৃটিশ অথবা মিত্র শক্তির সেনাপতির উদ্দেশ্যে প্রেরিত হইয়াছিল। সকলকে নিরস্ত্র করার পর কর্ণেল কিটসনের সহিত ক্যাপ্টেন সেহগলের আলাপ