পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৬
আজাদ হিন্দ ফৌজ

 ১৯৪৩ সালের ৬ই নবেম্বর অনুষ্ঠিত বৃহত্তর পূর্ব এশিয়া জাতি পরিষদের অধিবেশনে তৎকালীন জাপ প্রধান মন্ত্রী জেঃ তোজো যে বক্তৃতা দেন, সাক্ষী তাহার প্রতিলিপি আদালতে দাখিল করেন। উহাতে জেঃ তোজো বলেন, “অধুনা অস্থায়ী আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্টের ভিত্তি অধিকতর সুদৃঢ় হওয়ায় এবং উক্ত গভর্ণমেণ্টের অধীনে ভারতীয় স্বদেশভক্তগণ তাহাদের অভীষ্ট সাধনে পূর্বাপেক্ষা অধিকতর কৃতসঙ্কল্প হওয়ায় আমি এই মর্মে জাপ গভর্ণমেণ্টের তরফ হইতে ঘোষণা করিতেছি যে, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে জাপানী সাহায্যের প্রাথমিক নমুনা হিসাবে জাপ অধিকৃত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের শাসনভার অস্থায়ী আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্টের উপর ন্যস্ত করা হইবে।” তোজো আরও বলেন যে, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে জাপান তাহাকে সর্বোপায়ে সাহায্য দান করিবে। তবে এই ব্যাপারে ভারতীয়রাও যাহাতে তাঁহাদের প্রচেষ্টা বিপুল উদ্যমে আরম্ভ করেন তাহার দিকে লক্ষ্য রাখিতে জাপানীদের আগ্রহ ছিল।

 ১৯৪৩ সালের নবেম্বর মাসে টোকিওতে অনুষ্ঠিত বৃহত্তর পূর্ব-এসিয়াস্থিত জাতিসমূহের পরিষদে তৎকালীন জাপানের প্রধান মন্ত্রী জেঃ হিদেকী তোজো ও অন্যান্য প্রতিনিধিবর্গ ভারতের স্বাধীনতা অর্জনে পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। উক্ত পরিষদে জেঃ তোজে। এ সম্পর্কে যে বিবৃতি দেন, তাহা সামরিক অদালতে ‘একজিবিট’ হিসাবে দাখিল করা হয়। মিঃ ওতা উক্ত বিবৃতির সত্যতা স্বীকার কনেন। উক্ত বিবৃতিতে বলা হয় যে, ভারত যাহাতে মার্কিন ও ব্রিটিশ বন্ধনের নাগপাশ ছিন্ন করিয়া চির আকাঙ্খিত অভিলাষ পূরণ করিতে পারে, এরূপভাবে জাপ সাম্রাজ্য সর্বোপায়ে তাহাকে সহায়তা করিবে।’

 ফরিয়াদী পক্ষের কৌঁসুলী স্যার এন পি ইঞ্জিনীয়ারের প্রশ্নে মিঃ ওতা বলেন যে, তোজো যে বৈঠকে বক্তৃতা দেন, তাহাতে তিনি উপস্থিত ছিলেন না; তবে বৈঠকের কার্য্য বিবরণী পররাষ্ট্র দপ্তরে নিয়মিতভাবে প্রেরিত হয়।