পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩০
আজাদ হিন্দ ফৌজ

সালের এপ্রিলে টোকিওর সরকারী বাসভবনে তাঁহার সহিত সাক্ষীয় প্রথম দেখা হয়। শ্রীযুত বসু জার্মাণী হইতে জাপানে আগমন করেন।

 প্রঃ—জার্মাণী হইতে তাহাকে জাপানে প্রেরণের জন্য জাপ গভর্ণমেণ্টই কি জার্মাণ সরকারের নিকট প্রথম অনুরোধ জানান?

 উঃ—জাপ গভর্ণমেণ্ট জার্মাণ সরকারের সহযোগে শ্রীযুত বসুকে জাপানে প্রেরণের ব্যবস্থা করে।

 প্রঃ—জাপ গভর্ণমেণ্ট জার্মাণ গবর্ণমেণ্টের সহিত কি জন্য এইরূপ ব্যবস্থা করিয়াছিলেন?

 উত্তর:—জাপ গভর্ণমেণ্ট জানিতেন যে, সুভাষচন্দ্র বসু ভারতবর্ষের স্বাধীনতা লাভের জন্য চেষ্টা করিতেছেন। জাপ গভর্ণমেণ্ট মনে করিয়াছিলেন যে, তিনি যুদ্ধে জাপানের সহায়তা করিবেন এবং জাপ গভর্নমেণ্টও ভারতবর্ষের স্বাধীনতা লাভের জন্য তাঁহাকে সাহায্য করিবেন।

 প্রশ্ন:—আপনি কি এই কথা বলিতে চান যে, অন্য কাহারও দ্বারা অনুরুদ্ধ না হইয়া জাপ গভর্ণমেণ্ট স্বেচ্ছা-প্রণোদিতভাবে এইরূপ করিয়াছিলেন।

 উত্তর:—জাপ গভর্ণমেণ্ট স্বেচ্ছাক্রমেই এইরূপ করিয়াছিলেন।

 প্রশ্ন:—জাপ গভর্ণমেণ্ট মনে করিয়াছিলেন যে, যুদ্ধে জয়লাভের ইহাও একটি পন্থা?

 উত্তর:—জাপ যুদ্ধাদর্শের সহায়তাকল্পেই এইরূপ করা হইয়াছিল।

 প্রশ্ন:—সুভাষ বসুকে যখন ডাকিয়া পাঠান হইল তখন জাপানীরা জানিতেন যে, তিনি স্বাধীন ভারতবর্ষের অস্থায়ী গভর্ণমেণ্ট এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রধান কর্তা হইবেন?

 উত্তর:—আমার সহিত এই বিষয়ের যতটুকু সম্পর্ক আছে তাহাতে আমি এই কথা বুঝিতে পারিয়াছিলাম যে, সুভাষচন্দ্র বসু অস্থায়ী গভর্ণমেণ্টের কর্তা হইবেন।